প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব আমিনুল ইসলাম খান বলেছেন, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মিশ্র পদ্ধতির (ভার্চুয়াল ও সরাসরি) মাধ্যমে মনিটরিং চালু করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
পরিদর্শনে যা দেখা হবে-
# শ্রেণিওয়ারী ভর্তিকৃত শিক্ষার্থী সংখ্যা ও প্রকৃত উপস্থিতি।
# শিক্ষক সংখ্যা ও উপস্থিতি।
# শিক্ষার্থীর (শ্রেণীওয়ারী) লিখন, পঠন ও গাণিতিক
দক্ষতা।
এ ছাড়াও আলাদাভাবে কারিকুলাম বিষয়ে শিক্ষকের ধারণা, শিক্ষকের বিষয়ভিত্তিক জ্ঞান এবং যে শ্রেণিতে যে বিষয় পড়ান তা তিনি পড়েছেন বা আত্মস্থ করেছেন কিনা?
শিক্ষকের পাঠদান দক্ষতাও যাচাই করা হবে।
তিনি বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে মন্ত্রণালয় ও দপ্তরসমূহের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শিক্ষক, শ্রেণির পাঠ্যবই যথাযথভাবে পাঠ ও অনুধাবন করেছেন কি না তা দেখা হবে।
শিক্ষকের শিক্ষাগত যোগ্যতা, চাকরিকাল এবং প্রশিক্ষণের বিষয়ে দেখা হবে।
এছাড়াও পরিদর্শনকৃত বিদ্যালয়ের সামগ্রিক মূল্যায়ন (লেসন প্লান অনুযায়ী পরিকল্পিত পাঠদান, শিক্ষা উপকরণের ব্যবহার, শিক্ষক-শিক্ষার্থী-অভিভাবক সম্পর্ক, এক্সট্রা কারিকুলার কার্যক্রম) করা হবে।
শিক্ষক ও শিক্ষার্থীর দক্ষতামানের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানকে কয়েক মানে-
# নিম্নমান
# চলতিমানের নীচে
# চলতিমান
# ভাল এবং
# অসাধারণ
এই ৫ ক্যাটেগরিতে বিন্যাস করা হবে।
ছাত্রসংখ্যা, উপস্থিতি, পারস্পরিক দূরত্ব এ সবের ভিত্তিতে স্কুল একীভূতকরণ কার্যক্রম এবং এক শিফটে স্কুল পরিচালনা করার বিষয়ে পরীক্ষার পর এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
পরিদর্শন প্রতিবেদন তাৎক্ষণিকভাবে পূরণ করে এ বিষয়ে বিলম্বে বা অনিয়মিত বা অননুমোদিত অনুপস্থিতি এবং অদক্ষতার বিষয়ের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক নোটিশ জারী করা হবে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যেই কয়েকজন শিক্ষক-কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থাগ্রহণ করা হয়েছে।