বেশ কয়েক বছর পর অনুষ্ঠিতি হচ্ছে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। ইতোপূর্বে ধারাবাহিকভাবে এমন ঘটনা কখনো ঘটেনি যা এবার ঘটছে। এক বিষয়ের পরীক্ষায় অন্য বিষয়ের এমসিকিউ প্রশ্ন দেওয়া, পরীক্ষা কক্ষে ইলেকট্রনিক ডিভাইস (মোবাইল) ব্যবহার, এগুলো শিক্ষকদের উদাসীনতায় দায়ী। সামনে এইচএসসি পরীক্ষা তাই যে ভুলগুলো হয়েগেছে সেগুলো থেকেই সাবধান হওয়ার এখনই সময়।
প্রথম পরীক্ষার দিনেই নড়াইলের একটি কেন্দ্রে বাংলা ২য় পত্রের এমসিকিউ প্রশ্ন দিয়েই ভুলের শুরু হয়েছিলো।
‘ভুল প্রশ্নপত্র’ বিতরণ করায় রাজধানীর মাদারটেক আব্দুল আজিজ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কেন্দ্র সচিবকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তার পরিবর্তে প্রতিষ্ঠানের সহকারী প্রধান শিক্ষককে এ দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে এসএসসি ও সমমান পরীক্ষা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের কারণে দিনাজপুর শিক্ষা বোর্ডের চলমান এসএসসির চার বিষয়ের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। একইসঙ্গে দুটি বিষয়ের প্রশ্নপত্র বাতিল করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় কুড়িগ্রামের ভূড়ঙ্গামারীর নেহাল উদ্দিন পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক লুৎফর রহমানসহ ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়।
এ বছর ৯টি সাধারণ শিক্ষাবোর্ড, মাদরাসা এবং কারিগরি শিক্ষাবোর্ডসহ ১১টি শিক্ষাবোর্ডের আওতায় মোট ২০ লাখ ২১ হাজার ৮৬৮ জন পরীক্ষা দিচ্ছে। সারাদেশে মোট ৩ হাজার ৭৯০টি কেন্দ্রে হচ্ছে পরীক্ষা। এতে অংশ নিচ্ছে ২৯ হাজার ৫৯১টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীরা।
এসএসসি পরীক্ষার ঢাকা-২৬ কোড, ৫৭৯ মাদারটেক আব্দুল আজিজ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে গত ২৪ সেপ্টেম্বর শনিবার পদার্থ বিজ্ঞান (তত্ত্বীয়) এবং বাংলাদেশের ইতিহাস ও বিশ্বসভ্যতা পরীক্ষায় নির্ধারিত সেট-৪ এর পরিবর্তে সেট-২ প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হয়।
এর আগে গাজীপুরের শ্রীপুরে এসএসসি পরীক্ষার কক্ষে মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ফেসবুক লাইভ করে দুই শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় ওই কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব, সহকারী কেন্দ্র সচিব ও দুই পরীক্ষককে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এর আগে ওই দুই শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়।
বহিষ্কার কোন সমস্যার সমাধান নয়। প্রয়োজন আইনের কঠোর প্রয়োগ। কারন এসকল ভুল সাধারণ ভাবে দেখলেও শিক্ষার্থীদের মাঝে অসাধারণ ভাবে প্রভাব পড়ছে। আমরা আশা করছি এইচএসসি পরীক্ষায় এমন ঘটনার পুণরাবৃত্তি হবে না।