বুধবার (৩১ আগস্ট) সরেজমিনে জানা গেছে, আক্তারুজ্জামান গ্রামের রাজমিস্ত্রী কাজ করতেন। কোন রকম এসএসসি পাশ করেছেন। এর পরে আর লেখাপড়া করেন নি।প্রধান শিক্ষকের সহযোগীতায় তৎকালীন সভাপতি নিয়াত উল্লাহ্ সমন্বয়ে অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ নিয়েছিলেন তিনি। আক্তারুজ্জামান কিছুদিন আগে গাংনীর কাজিপুর ডিগ্রি কলেজ থেকে (Open University) উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এইচএসসি পাস করেছেন।
এ বিষয়ে আক্তারুজ্জামানের কাছে জানতে যাওয়া হলে তিনি জানান, আমি২০০১ সালে এসএসসি পাশ করেছি। এরপর অভাবে তাড়নায় প্রবাসে চলে যাই। আমার স্ত্রী প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের সমন্বয়ে স্কুলে জমা দেন। ২০০৭ সালে প্রবাস থেকে ফিরে এসে কৃষি ডিপ্লোমা করি। কোন কলেজ থেকে কৃষি ডিপ্লোমা করেছেন বেলতে পারেননি। সকল কাগজপত্র প্রধান শিক্ষকের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন।
প্রধান শিক্ষক সাইদুল হাসান বলেন, আমার জানামতে কাগজপত্র সবই ঠিক আছে। তবে নিয়োগ প্রক্রিয়া ও অন্যান্য কাগজ দেখতে চাইলে তা তিনি দেখাতে পারেন নি।
গাংনী মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাসার জানান, বিষয়টি আমি অবগত আছি। প্রতি বিদ্যালয়টি এমপিও হয়েছে। শিক্ষকদের সকল তথ্যাদি চাওয়া হচ্ছে। যদি তার কাগজপত্রে সমস্যা থাকে যাচাই-বাছাই বাদ দেওয়া হবে।
গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মৌসুমি খানম জানান, উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেলে ঐ শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।