• বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০৬:৫৪ পূর্বাহ্ন

গাংনীর বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বেতন বন্ধ

বিবর্তন প্রতিবেদক
Update : রবিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
গাংনীর বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বেতন বন্ধ
গাংনীর বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকের বেতন বন্ধ

অনুমোদন ছাড়াই শ্রেণি শাখা খুলে তিন শিক্ষক নিয়োগ এবং তাদের এমপিও করার সেই অভিযোগে ফেঁসে গেলেন গাংনীর ভরাট বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এনামুল হক। বিভাগীয় তদন্ত শেষে প্রধান শিক্ষক ও ওই তিন শিক্ষকের এমপিও স্থগিত করেছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর। ফলে গত জানুয়ারী মাস থেকে তাদের সরকারি বেতন বন্ধ হয়েছে।

জানা গেছে, বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে‘গ’ শাখা অনুমোদন ছাড়াই তিন শিক্ষক নিয়োগ দেন প্রধান শিক্ষক ইনামুল হক। শিক্ষাবোর্ড বলছে বিদ্যালয়টিতে ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণির ‘গ’ শাখার অনুমোদন নেই। অথচ এই শাখাগুলোতে তিন জন শিক্ষক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে এবং তারা এমপিও ভুক্ত হয়েছেন।

মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছিলেন বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সাবেক সদস্য আব্দুল মতিন।

অভিযোগ আমলে নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা খুলনা অঞ্চলের উপ পরিচালক একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন গত বছরের জানুয়ারী মাসে। ওই তদন্ত কমিটির প্রধান ছিলেন কুষ্টিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।

এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা সরজমিন এলাকা ঘুরে অভিযোগের বিষয়ে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেন। বেশ কয়েক মাস ধরে চলা তদন্তের প্রতিবেদন এক পর্যায়ে উপ পরিচালকের কাছে দাখিল করা হয়। তদন্তে অবৈধভাবে শাখা খোলা এবং নিয়োগ দিয়ে এমপিওভুক্ত করার বিষয়টি অনিয়ম হিসেবে বিবেচিত হয় উপ পরিচালকের কাছে।

তদন্তের বিষয়ে কুষ্টিয়া জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার রমজান আলী বলেন, শাখার কোন অনুমোদন নেই। অনুমোদন জালিয়াতি এবং অবৈধ নিয়োগের বিষয়ে সত্যতা মিলেছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই উপ পরিচালক বরাবর তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।

এছাড়াও দুদক ও মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে পৃথক তদন্ত করা হয়। তিনটি তদন্তেই অনিয়ম ধরা পড়ে। এর প্রেক্ষিতে মহাপরিচালক এমপিও স্থগিত করেছেন বলে জানা গেছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category