• সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:০৫ পূর্বাহ্ন

গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী কর্তৃক সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিত

বিবর্তন প্রতিবেদক
Update : মঙ্গলবার, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩
গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী কর্তৃক সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিত
গাংনীতে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী কর্তৃক সহকারী শিক্ষক লাঞ্ছিত

প্রধান শিক্ষকের সাথে সহকারী শিক্ষকের নানা কারণে মতানৈক্য থাকার জের ধরে প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী রিনা খাতুনের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন সহকারী শিক্ষক কল্পনা। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে গাংনীর রুয়েরকান্দি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনাটি ঘটে। তবে এসময় প্রধান শিক্ষক ও কোন শিক্ষার্থী ছিলেন না। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
শিক্ষক কল্পনা খাতুন জানান, স্লিপের টাকা, ক্লাস রুটিনসহ অন্যান্য বিষয় নিয়ে প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলামের সাথে তার দ্বন্দ্ব দীর্ঘ দিনের। সম্প্রতি ক্লাস্টার অফিসার ওবাইদুর রহমান বিষয়টি মিমাংসা করেন। গেল সোমবার একদিনের জন্য ছুটির আবেদন করেন তিনি। কিন্তু ছুটি দিতে নারাজ প্রধান শিক্ষক। এ নিয়ে বিদ্যালয়ে কথা কাটা কাটি হয় দুজনের। বিষয়টি জেনে যান প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী রিনা খাতুন। ওই দিন বিকেলে স্কুল ছুটির পর বাড়ি ফেরার পথে তিনি গালমন্দ করেন এবং নানা ভাবে হুমকী দেন।
মঙ্গল বার সকালে বিদ্যালয়ের অফিস কক্ষে বসে থাকার সময় প্রধান শিক্ষকের স্ত্রী বিদ্যালয়ে এসে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন ও ধাক্কা দেন। অন্যান্য শিক্ষকরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন এবং সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার এবং বিদ্যালয়ের সভাপতিকে অবহিত করেন। সভাপতি মওলাবক্স ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে বিস্তারিত শোনেন এবং আইনানুগ ব্যস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।

প্রধান শিক্ষক আমিরুল ইসলাম জানান, তিনি মাসিক মিটিংয়ের কারণে উপজেলা শিক্ষা অফিসে অবস্থান করছেন। তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন।

সংশ্লিষ্ট ক্লাস্টার সহকারী শিক্ষা অফিসার ওবাইদুর রহমান জানান, তিনি ঘটনাটি শুনেছেন এবং বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবেন।

এদিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে মিলেছে বিচিত্র সব তথ্য। বিদ্যালয়ের হাজিরা খাতায় ৮৪ জন শিক্ষার্থীর নাম থাকলেও কোন শিক্ষার্থীকে পাওয়া যায়নি। আগস্ট মাসের ১০ তারিখের পর থেকে শিক্ষার্থীদের হাজিরা বন্ধ। উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেষ কবে বিদ্যালয় পরিদর্শন করেছেন তা বলতে পারেনি শিক্ষকবৃন্দ। তবে শিক্ষা অফিসার উপজেলা শহরের কয়েকটি বিদ্যালয়ে দিনে তিনবারও পরিদর্শন করেন। শিক্ষা অফিসারদের উদাসীনতার সুযোগ নিয়ে প্রধান শিক্ষক উপস্থিতি স্বাক্ষর করে নিজ কাজে চলে যান। মুভমেন্ট রেজিস্টারে কিছু না লিখেই চলে যান তিনি। স্থানীয় ও প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ প্রতিবাদ করেন না। স্থানীয়রা সন্তানের ভবিষ্যত ভেবে অন্য বিদ্যালয়ে ভর্তি করিয়েছেন সন্তানদের।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন জানান, বিদ্যালয়ের সংঘটিত ঘটনাটি তিনি শুনেছেন তবে অনিয়মের বিষয়টি তিনি জানেন না। ঘটনাটি তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন তিনি।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category