শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবরে মেহেরপুর জেলা জুড়ে মিষ্টি বিতরণ এবং আনন্দ মিছিল চলছে। এই মিছিল থেকে আওয়ামী লীগের কার্যালয় ও নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাংচুর এবং অগ্নি সংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
দুপুরে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের খবর ছড়িয়ে পড়লে মেহেরপুরসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে আনন্দ মিছিল করতে নেমে আসে জনতা। এ সময় মেহেরপুর শহরের অবস্থিত মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের বাসভবন ও তার ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুল এবং এর পাশে অবস্থিত জেলা আওয়ামী লীগের প্রধান কার্যালয়ে ভাংচুর করে অগ্নি সংযোগ করা হয়। একই সময়ের শহরের বেশ কয়েকটি দোকানে ভাংচুর লুটপাট অগ্নিসংযোগ এবং পাবলিক প্রসিকিউটর পল্লব ভট্টাচার্যের বাড়িতেও ভাংচুর অগ্নিসংযোগ করা হয়।
এদিকে উত্তেজিত জনতা ঐতিহাসিক মুজিবনগর কমপ্লেক্সে অবস্থিত বঙ্গবন্ধুর মোরালসহ স্বাধীনতার ইতিহাস সম্বলিত মুরাল ভাংচুর করেছে। একই সময়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়।
একই সময়ে উত্তেজিত জনতা গাংনী শহরে অবস্থিত মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য এসএম নাজমুল হক সাগরের কার্যালয়ে ইট পাটকেল নিক্ষেপসহ ভাংচুর এবং উপজেলা পরিষদ চত্বরে ও মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্সে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ভাংচুর চালায়।
এছাড়াও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাহিদুজ্জামান খোকনের বাড়িতে হামলা এবং সাধারণ সম্পাদক মোকলেছুর রহমান মুকুল, পৌর মেয়র আহমেদ আলীর বাড়ি, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশারফ হোসেনের কার্যালয় এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙচুর চালায়। সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের কার্যালয়ে ভাংচুর অগ্নি সংযোগ করা হয়। ভাংচুর করা হয় পৌর কর্মচারী জামিরুল ইসলাম টিক্কার বাড়িতে। এছাড়াও সাবেক ছাত্রনেতা সাইফুজ্জামান সিপুর কার্যালয়ে আগুন ধরে পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়াও বিভিন্ন গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িতে ভাংচুর অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।