পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচন বন্ধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবন থেকে সিসিটিভি ক্যামেরায় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার পর প্রেস বিফ্রিং এ সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে দফায় দফায় ভোটকেন্দ্র স্থগিত করা হয়।
সিইসি বলেন, ভোটের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ আর সম্ভব হচ্ছে না বলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে। আরপিও ৯১ অনুচ্ছেদ অনুসারে, প্রদত্ত ক্ষমতা বলে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে কমিশন।
উল্লেখ্য, জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়ার মৃত্যুতে গত ২৪ জুলাই গাইবান্ধা-৫ আসন শূন্য ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ১৭টি ইউনিয়নের মোট ১৫৪টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ করা হবে ইভিএমের মাধ্যমে। দুই উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন। নির্বাচনী এলাকার ১৪৫টি ভোটকেন্দ্রের অভ্যন্তরে ২টি এবং প্রতিটি ভোটকক্ষের ভিতর (গোপন বুথের দৃশ্য ব্যতীত) ৯৫২টি সব মিলিয়ে ১ হাজার ২৪২টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়।
এ আসনে দলীয় ও স্বতন্ত্র মিলিয়ে মোট পাঁচ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহমুদ হাসান (নৌকা), জাতীয় পার্টির প্রার্থী এইচ এম গোলাম শহীদ রঞ্জু (লাঙল), বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম (কুলা), স্বতন্ত্র প্রার্থী নাহিদুজ্জামান নিশাদ (আপেল) ও সৈয়দ মাহবুবার রহমান (ট্রাক)।