দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ চিকিৎসা, লেখাপড়া, ব্যবসা ও দাপ্তরিকসহ নানা কাজে রাজধানী শহর ঢাকায় আসে।
সময়ের সঠিক ব্যবহার, যানজট ও দিনের তাপমাত্রা হিসেব করে অনেকেই রাতে ভ্রমন করেন। সেই নিরাপদ যাত্রা যদি ডাকাতের কবলে অনিরাপদ ও জীবন মালের ঝুকিতে পড়ে।
তখন আর মানুষের নিরাপদ যাত্রা কোথায়। এখন সারা দেশেই উচ্চ শিক্ষা গ্রহনের জন্য ভার্তি পরিক্ষা চলছে। আজ এ জেলায় তো কাল ঐ বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা।
পরীক্ষাকে সামনে রেখে সেই শহরের হোটেল রেস্তোরা থেকে সব কিছুতেই চলে দাম বাড়ানোর প্রতিযোগীতা।
আবার অনেক সময় টাকা দিয়েও ঠাই মেলেনা রাত্রি যাপনের জন্য আবাসিক হোটেলে। এসব চিন্তা করেই রাতেই মানুষ চলাচল করছিলো রাতের পরিবহনে। কিন্তু সেটাও এখন আর নিরাপদ নয়।
ঈগল পরিবহনে ডাকাতি ও ধর্ষনের ঘটনায় আজ কয়েকদিন সেটা প্রকট হয়ে উঠেছে।
এ ক্ষেত্রে যাত্রীদের কি অপরাধ?। যাত্রীরা চাই, যে স্থানে নামার কথা সেই পর্যন্ত নিরাপদে পৌঁছুতে পারলেই হলো।
পরিবহনের কোন যাত্রীই চাই না কাউন্টার ছাড়া রাস্তার মাঝে কেই গাড়ী দাড় করিয়ে ভাড়া চুক্তিতে তাদের সাথে যাত্রা করুক।
ঈগল পরিবহনের ক্ষেত্রে এমনটিই ঘটেছিলো। যাত্রীরা কিছুই জানে না কিন্তু পথের মাঝ থেকে হেল্পার, সুপার ভাইজার ও ড্রাইভার অবৈধভাবে কিছু টাকার জন্য তাদের গাড়িতে তুলেছিলো।
এই তিন জনের কিছু হোক বা না হোক যাত্রীদের মালামাল লুট করেছে। সেই সাথে দুজন নারী যাত্রীকে পালাক্রমে ধর্ষন করেছে।
এটা কোন রাষ্ট্রের দুরপাল্লার পরিবহনে দুরের কথা, ছোট ছোট কোন বাহনেই এমনটি কাম্য নয়। সান্তনা এতোটুকুই যে ডাকাত দলের সদস্যদের কয়েকজন আটক হয়েছে।
কিন্তু সবচেয়ে বড় অপরাধী হলো ঐ পরিবহন সংশ্লিষ্ট তিনজন যারা লাভের আশায় যাত্রীবেশী ডাকাতদের পরিবহনে তুলে ছিলো।
এখনো সময় আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সড়ক নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে। পরিবহন কর্তৃপক্ষকেও স্টাফ নিয়োগে শর্তক হতে হবে। এসকল অপরাধ করেও যদি অপরাধীরা পার পেয়ে যায় বা সহজেই জামিনে মুক্ত হয় তাহলে সড়ক নিরাপদ করা সম্ভব হবে না।
প্রয়োজনে হাইওয়ে পুলিশের টহল জোরদার ও দ্রুত আইনের আওতায় বিচার নিশ্চিত করা জরুরী।