কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সারের মুল্য বেশী নেয়ায় ভুক্তভোগী কৃষক ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দেয়। এরপর সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত উপস্থিত হয়ে ঘটনার উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পাওয়ায় সংশ্লিষ্ট সার ডিলার কে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। শুক্রবার বিকালে উপজেলার আড়িয়া ইউপির ঘোড়ামারা বাজারে এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল জব্বার।
ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানাযায়, চলতি আমন মৌসুমে বেশী দামে কৃষকদের কাছে সার বিক্রয় করায় এক ভুক্তভোগী কৃষক প্রতিকার চেয়ে ৩৩৩ নাম্বারে ফোন দেন। পরে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার কে ব্যবস্থা নেবার জন্য বলা হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল জব্বার ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। এসময় ভুক্তভোগী কৃষককে যে ক্যাশমেমো দেয়া হয়েছে তাতে দেখা যায়, সংশ্লিষ্ট পণ্যের প্যাকেট/বস্তার মুল্যের চেয়ে অনেক বেশী মূল্য নেওয়া হয়েছে। স্থানীয়রাও ঐ ডিলারের বিরুদ্ধে সারের মুল্য বেশী নেবার অভিযোগ করেন। আড়িয়া ইউনিয়নের বিসিআইসি‘র সার ডিলার গ্রীন এন্টার প্রাইজের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মো. আব্দুল জব্বার ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৪০ ধারা লংঘনের দায়ে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে গ্রীন এন্টার প্রাইজকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
উল্লেখ্য: একদিন আগে গত বৃহস্পতিবার মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়, অবৈধ মজুদ, ও মুল্য বেশী নেয়ায় একই সার ডিলার কে জরিমানা করেছিল ভ্রাম্যমান আদালত। চলতি আমন মৌসুমে কৃষকের সরকার নির্ধারিত মুল্যে রাসায়নিক সার পাওয়া নিশ্চিত করতে এ অভিযান চলমান থাকবে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আব্দুল জব্বার জানিয়েছেন।