সারা দেশে আসন্ন জেলা পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থীরা সর্বোচ্চ ৫ লাখ এবং সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য প্রার্থী ১ লাখ টাকা নির্বাচনী ব্যয় করতে পারবেন। এছাড়া চেয়ারম্যান প্রার্থী ব্যক্তিগত খরচ বাবদ সর্বোচ্চ ৫০ হাজার এবং সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের সদস্যরা ১০ হাজার টাকা খরচ করতে পারবেন বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন(ইসি)। মঙ্গলবার (৪ অক্টোবর) নির্বাচন কমিশনের (ইসি) উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সব প্রার্থীর ব্যয়সীমা সংক্রান্ত এ নির্দেশনা সম্প্রতি রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছেন ।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীদের আয়কর সনদসহ রিটার্ন জমা দেয়ার প্রমাণ জমা দিতে হবে। অপরদিকে কেবলমাত্র সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্য ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের ১২ ডিজিটের আয়কর সনদ ও রিটার্ন জমার প্রমাণক দিতে হবে। তবে, এই দুইপদে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভা এলাকার বাইরের প্রার্থীদের আয়কর সনদ দেয়ার প্রয়োজন পড়বে না। প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয় তার এজেন্ট ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি খরচ করতে পারবেন না। যা কোনো তফসিলি ব্যাংকের নতুন একটি অ্যাকাউন্ট থেকে পরিচালিত হতে হবে।এদিকে অপর একটি নির্দেশনায় জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটকক্ষে কোন ভোটার মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। নির্বাচনী কেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট ও নির্বাচনী এজেন্টও মোবাইল ব্যবহার করতে পারবে না। নির্বাচনের ফলাফল সরকারি গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে ব্যয়ের তথ্য দাখিল করতে প্রার্থী বাধ্যবাধকতা দিয়েছে ইসি। নির্দেশনায় এসব তথ্য ভোটারদের মাঝে প্রচারের ব্যবস্থা করার জন্যও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে সংস্থাটি। জেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ১৭ অক্টোবর।