সাবেক এমপি আমজাদ হোসেন ধানখোলা ইউনিয়ন বিএনপির ক অঞ্চলের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় করেছেন। আজ বৃহষ্পতিবার বিএনপি নেতা নুর ইসলামের নেত্বতে শতাধিক নেতাকর্মী দলীয় কার্যালয়ে এ মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি দিকনির্দেশনা মুলক বক্তব্য রাখেন।
এ সময় উপজেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, গাংনী পৌর বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি আব্দুল্লাহহেল মারুফ পলাশ, যুগ্ম সম্পাদক ইয়ামিন আলী বাবলু, ধানখোলা ইউনিয়নের জাহাঙ্গীর, ধানখোলা ইউপির সাবেক সদস্য সফিউর রহমান টমা, বিএনপি নেতা আনারুল ইসলাম, উমর আলী, আব্দুর রশিদ, ফিরোজ আলী, মোতাহের হোসেনসহ দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আগামী দিনের জন্য দলকে সংগঠিত করতে আমজাদ হোসেন বলেন, দীর্ঘ ১৭ বছর আমরা একটা স্বৈরশাসকের অধীনে ছিলাম এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা জেল জুলুম মামলা মোকাবেলা করে আজকের অবস্থানে এসেছি। তিনি বলেন হাসিনার সরকার দেশের সকল সেক্টর লুটপাট করে দেওলিয়া করে দিয়েছেন। বারবার বিএনপি অফিসে হামলা করেছে আমাকেসহ নেতাকর্মীদের নামে অসংখ্য মিথ্যা মামলা দিয়েছে।
আমরা সকল প্রতিকুলতা কাটিয়ে উঠেছি। ছাত্রদের আন্দোলনে অনেক ছাত্র জনতা নিহত হয়েছে আওয়ামীলীগ ও পুলিশের গুলিতে। আওয়ামীলীগ অর্থলুট, ব্যাংক লুট, মানুষ হত্যা, মানুষের বাকস্বাধীনতা হরণ সহ সকল অপকর্মের কারণে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে। একটি দল কি পরিমাণ অপকর্ম করলে দলের প্রধান, সকল এমপিসহ সেই দলের নেতাকর্মীরা পালিয়ে যায়। বিএএনপির কনো লোক কোন রকম অন্যায় অবিচার, চাদাবাজি বা খারাপ কাজ করলে দল থেকে বহিষ্কার করা হবে।
দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনাদের প্রতি আমার পরামর্শ দলকে এখন সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করতে হবে। আগামী নির্বাচনে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি নির্বাচন করবো, আর দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দেই তবে দল যাকেই মনোনয়ন দেবে আমার সকল নেতাকর্মী নিয়ে তার পক্ষে কাজ করবো। দলের সকল নেতাকর্মীদের ব্যাক্তিগত গ্রুপ না করে দলের নেতাকমী হিসেবে কাজ করতে হবে। এখনও দলের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে আপনাদের ঐক্যবদ্ধভাবে সকল ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে।