মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয় দখল করা কেন্দ্র করে শিক্ষকদের সাথে জমির মালিক দাবীকারী পক্ষের লোকজনের সংঘর্ষে নারীসহ উভয় পক্ষের অন্তত ১৭ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) বেলা এগারটার দিকে বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
আহতদের মধ্যে জমির মালিক দাবীকারী সোহেলী খাতুন (২৮) ও সুমাইয়া খাতুন (২৫) নামের দুজনকে মুমূর্ষ অবস্থায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে।
এছাড়াও গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গাংনী পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন (৬০), হিজলবাড়ীয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক আলমগীর হোসেন মিঠুকে (৪৮) ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে জমি দাবীকারী পক্ষের আহতদের মধ্যে নিজাম উদ্দীন (৪০), মিজানুর রহমান (২৮), মোজাম হোসেন (৩৫), হাবিবা খাতুনকে (৩৫) গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঁশবাড়ীয়া গ্রামে প্রধান সড়কের পাশে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষক-কর্মচারী কল্যাণ সমিতির কার্যালয় রয়েছে। ক্রয় সূত্রে শিক্ষক সমিতি জমির মালিকানা দখলে রয়েছে দীর্ঘদিন থেকে। সমিতির কার্যালয়ের প্রধান ফটক উচ্ছেদ করে সড়ক ও জনপথ বিভাগ। এই সুযোগে বাঁশবাড়ীয়া গ্রামের কুতুব উদ্দীন ও নিজাম উদ্দীন গং জমির মালিকানা দাবি করে সেখানে অস্থায়ী ঘর নির্মান করে বসবাস শুরু করে। এরই জের ধরে দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বেলা ১১টার দিকে সমিতিভুক্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কয়েকশ শিক্ষক-কর্মচারী জড়ো হয়ে সেখানে বসবাসকারীদের উপর হামলা চালায়। এতে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে উভয় পক্ষের অনন্ত ১৭ জন আহত হন। পরে গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক, গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী ও গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন।
আহতদের বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা: আবির হোসেন জানান, শিক্ষক পক্ষের দুজন এবং অপর পক্ষের চারজনকে গাংনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়াও শিক্ষকদের বিপরিত পক্ষের আহত দুই নারীকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতেল রেফার করা হয়েছে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানান তিনি।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জনান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। লোকজনকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আহত সকলেই চিকিৎসা নিচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।