মেহেরপুরের গাংনীর হেমায়েতপুরে মালেশিয়া প্রবাসি মঈনুদ্দীনের মৃত্যুর ঘটনায় পরিবারে বিরাজ করছে শোকের মাতম। পিতৃহারা ইমরান ইরানীর চোখে মুখে বিষাদের ছায়া। ভবিষ্যত নিয়েও চিন্তিতঃ একদিকে বাবা নেই অন্যদিকে ফুফুদের সম্পত্তি নিয়ে নানা সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। তারা নানা ধরনের কুৎসা রটনাতেও ব্যস্ত বলে দাবী করেছেন ইমরান ইরানী। মঈনুদ্দীনের ছেলে ইমরান জানান, তার বাবা মালেশিয়া থেকে দেশে আসেন মাস দুয়েক আগে। গত বৃহষ্পতিবার সকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসা হয়। সেখানে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে বাবার মৃত্যু হলেও ফুফু শিরিনা ও অন্যান্যরা দ্বাবী করেছেন, বাবাকে পরিকল্পিতভাবে মেরে ফেলা হয়েছে। ইমরান আরো জানান, দাদী মইরন নেছাকে দেখভাল করার কারণে তিনি নিজেই আমার মা জুলেখাকে ৯ কাঠা জমি রেজিস্ট্রি করে দেন। পরে ওই জমি আমার বাবা মঈনুদ্দীনের নামে রেজিস্ট্রি করা হয়। এতে রাগান্বিত হয়ে ফুফুরা ওই জমির উপর মামলা করেন যা আজো আদালতে বিচারাধিন। বাবা মঈনুদ্দীন মালেশিয়াতে অবস্থানকালেও দুইবার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। বাড়িতে এসেও কয়েকদিন যাবত অসুস্থ ছিল। মেয়ে ইরানী জানান, বাবাকে পরিকল্পিতভাবে কেমিক্যাল খাওয়ানোর কারণে মারা গেছে বলে ফুপুসহ বিভিন্ন জন দাবী করেছেন। ঘটনার সময় আমরা সবাই মিলে ভাত খেতে বসি। মরলে সবাই মারা যেতাম কিন্তু তা হয়নি। পারিবারিক শত্রুতার কারণে এমন অপবাদ দেয়া হয়েছে। এমনকি মায়ের অনৈতিক সম্পর্কের কথাও বলা হয়েছে যা সম্পুর্ণ ভিত্তিহীন। বাবার অবর্তমানে মা অনেকের সাথে যোগাযোগ করে সংসারের কাজ করাতো। ভাই বোন কেউ ভাল কাজ বুঝিনা তাই অন্যকে দিয়ে কাজ করানোর কারণে এবং সম্পত্তির ভাগ না পেয়ে নানা অপবাদ দিচ্ছে যা অসহনীয়। মায়ের সাথে কারো কোন অনৈতিক সম্পর্ক নেই। স্থানীয় অনেকেই জানান, মঈনুদ্দীনের এক সময় অভাব ছিল। সেসময় কেউ তার সংসারের খবর রাখতো না। বিদেশ যাবার পর তার অবস্থার উন্নতি হওয়ায় অনেকেই এখন তার চক্ষুশূল। মঈনুদ্দীনের স্ত্রীকে বিতাড়িত করার অপচেষ্টা করছে তারই আত্মীয় স্বজন। গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মঈনুদ্দীনের বোনসহ অন্যান্যরা অভিযোগ করছেন তাই জটিলতা এড়াতে মরদেহ ময়না তদন্ত করা হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্ট আসলে সে অনুযায়ি তখন আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।