মেহেরপুরের গাংনীতে পৌর সুপার মার্কেট নির্মাণ কাজ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাংনী পৌর মেয়র আহম্মেদ আলী। মার্কেট নির্মাণে বাধাদানকারী হিসেবে সাবেক ছাত্র নেতা সাহিদুজ্জামান শিপুকে ক্যাসিনো ব্যবাসায়ী বলে আখ্যায়িত করায় পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন শিপু। আজ রবিবার সকালে পৌরসভা সম্মেলন কক্ষে মেয়র এবং শিপুর রাজনৈতিক কার্যালয়ে পৃথক এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
পৌর মেয়র আহম্মদ আলী সংবাদ সম্মেলনে জানান, স্থানীয় ব্যবসায়িদের সুবিধার্থে পৌর মার্কেট নির্মাণ কাজ শুরু হয়। কিন্তু হঠাৎ করেই ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপু ও তার লোকজন এ কাজে বাধাদান করেন। ব্যাক্তিগত ফায়দা লুটার জন্য শিপু ও তার ক্যাডার বাহিনী উন্নয়ন কাজের বাধা হয়ে দাড়িয়েছে। পৌর মেয়র সাহিদুজ্জামান শিপুকে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী আখ্যায়িত করেন। ক্যাসিনোর টাকা দিয়ে গুটি কতক লোক নিয়ে সরকারের উন্নয়ে বাধা দিচ্ছে। আবারো নির্মাণকাজে কোন বাধা আসলে তা আইনী প্রক্রিয়ায় প্রতিহত করা হবে বলেও জানানো হয়।
মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে মেয়র আহম্মেদ আলী আরও বলেন, এখানে মার্কেট নির্মাণ হলে কয়েক হাজার মানুষ সুবিধা ভোগ করবেন। গাংনী শহরে সরকারি তেমন কোন মার্কেট নেই। যে জায়গায় অস্থায়ী মার্কেট ছিল সেখানে স্থায়ী মার্কেট তৈরী করা হচ্ছে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সুবিধার্থে। তাছাড়া সরকারি এ মার্কেট নির্মাণ হলে পৌরসভার আয় বৃদ্ধি পাবে। যার দিয়ে পৌর নাগরিকদের সেবার মান বৃদ্ধি পাবে। অথচ এক শ্রেণির অসাধু মানুষ বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করছে। যারা গাংনীর উন্নয়ন চায় না তারাইন নানাভাবে বাধা দিয়ে বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তা কর্মচারী ও সাংবাদিকগন উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে ছাত্রনেতা শাহিদুজ্জামান শিপুকে ক্যাসিনো ব্যবসায়ী হিসেবে আখ্যায়িত করা ও নির্মাণকাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগের কারণে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি জানান, জনগনের সুবিধা-অসুবিধার কথা চিন্তা করে আইনী প্রক্রিয়ায় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য আদালতে শরণাপন্ন হয়েছেন স্থানীয় লোকজন। কাজে কোন রকম বাধা দেওয়া হয়নি। ক্যাসিনোর বিষয়ে তিনি জানান, তিনি কোন ক্যাসিনোর সাথে জড়িত নন। বাল্যকাল থেকেই তিনি বিভিন্ন খেলার সাথে জড়িত। খেলোয়াড়দের জন্য তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন খেলার সামগ্রী প্রদান করেন। যারা মেয়রের সাথে রয়েছেন তাদের অনেকেই অনলাইন জুয়ার সাথে সম্পৃক্ত উল্লেখ করে তিনি জানান, যুবলীগ নেতা রাহিবুল, কাউন্সিলর মোতালেবসহ অনেকেই মেয়র সাহেবের কাছের লোকও জুয়ায় আসক্ত।
আইনী প্রক্রিয়ায় পৌর মার্কেট নির্মানের বিষয়টি সমাধান হবে বলে তিনি আশাবাদী। এ সংবাদ সম্মেলনে শিপুর রাজনৈতিক সহকর্মীবৃন্দ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।