মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে দুপক্ষের সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন । আহত হয়েছেন উভয়পক্ষের আরো ৭ জন। গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাত দশটার দিকে দু’পক্ষের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাহারুল ইসলাম বাওট গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামিদুল হক কালু এবং নাহারুল ইসলামের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত। মঙ্গলবার সকালে উত্তেজিত জনতা বাওট গ্রামের আওয়ামী লীগ নেতা মাছ ব্যবসায়ি মাসুদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালায়। এরপরে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা নাহারুলের চাচাতো ভাই মহিদুল ইসলামের বাড়িতে হামলা করতে যায়। হামলাকারীদেরকে নিবৃত্ত করেন নাহারুল ইসলামের পরিবারের লোকজন।
পরে গাংনীর উদ্দেশ্যে বিএনপির বিজয় মিছিলে বের করেন গ্রামের বিএনপি নেতা কর্মীরা। ওই মিছিলে যোগ দেয় বিএনপি নেতা নাহারুল ইসলামের ভাই আওয়ামীলীগ সমর্থক ইনামুল হক। এতে উত্তেজিত হয়ে পড়ে বিএনপি কর্মীরা। এ নিয়ে হামিদুল হক কালু এবং নাহারুল ইসলামের মধ্যে দ্বন্দ্ব শুরু হয়। দু পক্ষের মধ্যে আবারও বাক বিতন্ডতা এবং উত্তেজনার একপর্যায়ে নাহারুলের লোকজন হামিদুল হক কালু পক্ষের মুদি দোকানী উজ্জলের দোকানে ভাংচুর করে। উত্তেজনা আরো ছড়িয়ে পড়লে রাতে দু পক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ শুরু হয়।
সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন রক্তাক্ত জখম হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে প্রেরণ করে। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাহারুলের মৃত্যু হয়। অপরদিকে হামিদুল হক কালুুকে মুমূর্ষাবস্থায় মেহেরপুর জেলার হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আহত অন্যান্যদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। আবারো দু পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের আশঙ্কা করছেন এলাকার লোকজন।
গাংনী থানার ওসি তাজুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় গাংনী থানায় একটি মামলা হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।