প্রথম দফায় রাজধানীর তেজগাঁওয়ের ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য গোপন রাখতে পরের দুই দফায় দলের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয় গণভবনে। এসব বৈঠকে দেশের ৮টি বিভাগে ৩০০ আসনে দলীয় প্রার্থী বাছাই করে মনোনয়ন বোর্ড। বাছাইয়ে বর্তমান ৩ জন মন্ত্রীসহ ৬৯ জন এমপি বাদ পড়েছেন। মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী রংপুর বিভাগে ৭ জন, রাজশাহী বিভাগে ৮ জন, বরিশাল বিভাগে ৫ জন, খুলনা বিভাগে ৮ জন, সিলেট বিভাগে ৮ জন, ময়মনসিংহ বিভাগে ৯ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জন, ঢাকা বিভাগে ১৩ জন এমপি বাদ পড়েছেন। ৩ জন মন্ত্রীর মধ্যে ১ জন সিলেট বিভাগ, ১ জন চট্টগ্রাম এবং ঢাকা বিভাগের ১ জন বাদ পড়েছেন বলে একাধিক সূত্র জানিয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চমক দেখাতে চায় ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। ফলে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন বোর্ড সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তরুণ নেতৃত্বকে। গত এক বছর ধরে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে একাধিক জরিপ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই জরিপে শতাধিক বর্তমান মন্ত্রী ও এমপির বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠে আসে। এর মধ্যে ৬৯ জন এমপির বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ উঠে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে-টানা তৃতীয় দফায় ক্ষমতায় থাকাকালে অনেক এমপি দলীয় শৃঙ্খলা মানেননি। জনসম্পৃক্ততা নেই, যারা বিভিন্ন অবৈধ পন্থায় কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। স্থানীয় পর্যায়ে দেখিয়েছেন দাম্ভিকতা। তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের মূল্যায়ন না করা। দলের মধ্যে দ্বন্দ্ব নিরসন না করে সেটি আরও বেশি তৈরি করেছেন, নারী কেলেঙ্কারি, জমি দখল, সরকারি সম্পত্তি দখলসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ। এসব কারণেই ৩ মন্ত্রীসহ ৬৯ এমপি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন থেকে সিটকে পড়ছেন।