মেহেরপুরে শামিম রেজা নামের এক ব্যক্তিকে খাস জমি বন্দোবস্ত দেওয়ার নামে ৮০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে গাংনী উপজেলা ভূমি অফিসের অফিস সহায়ক মোঃ রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে। শামীম রেজা মেহেরপুর পৌর শহরের মৃত আব্দুল হামিদের ছেলে।
এ ঘটনায় গত ২৬ জুলাই মেহেরপুর জেলা প্রশাসক বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ পত্র দিয়েছেন ভূক্তভূগী শামিম রেজা।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, শামীম রেজা পেশায় একজন রিক্সা চালক। তার কোন জমি জায়গা না থাকায় ৬৭ নং বামনপাড়া মৌজার ১ নং খাস খতিয়ানের আর.এস ৪১ নং দাগের ৮ শতক জমি বন্দোবস্ত পাওয়ার জন্য আবেদন করে।
আবেদনের পর সেসময় রাজস্ব শাখায় কর্মরত সদর উপজেলার বন্দর গ্রামের মৃত মিয়ারুল ইসলামের ছেলে মোঃ রবিউল ইসলাম (বর্তমানে গাংনী ভূমি অফিসে কর্মরত) ১ লক্ষ টাকা প্রদান করলে ওই জমির ব্যবস্থা করে দেবে বলে জানাই। জমি পাবার আশায় রবিউলের সাথে শামিম রেজার ৮০ হাজার টাকায় চুক্তি হয়।
চুক্তি অনুযায়ী সরল বিশ্বাসে শামীম রেজা ১ম ধাপে ১০ হাজার, ২য় ধাপে ২০ হাজার এবং ৩য় ধাপে ৫০ হাজার টাকা রবিউলকে প্রদান করেন। টাকা দেওয়ার কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও জমি আজ করে দেবো, কাল করে দেবো বলে ঘুরাতে থাকে রবিউল। এর মধ্যে সে মেহেরপুর থেকে গাংনী উপজেলা ভূমি অফিসে বদলি হয়ে যান। পরবর্তীতে জমি বা টাকা ফেরতের বিষয়ে তাকে কিছু বলতে গেলে সে পুরো বিষয়টি অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে জানতে রবিউলের মুঠোফোনে যোগযোগ করলে রবিউল টাকা নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, শামিম আমার ছোট ভাইয়ের মত। তার জমির জন্য আমি আবেদন করে দিয়েছিলাম। জমি দেওয়ার নামে তার কাছ থেকে কোন টাকা নেইনি।
এ ব্যাপারে গাংনী উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম জানান, রবিউলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগের সত্যতা ও তদন্তের মধ্যদিয়ে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।