দেশের বৃহত্তম চালের মোকাম কুষ্টিয়ার খাজানগর আবারও অস্থিতিশীল।
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ৫০ কেজির বস্তা প্রতি চালের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ৭৫ টাকা পর্যন্ত।
খুচরা ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, ধানের দাম বৃদ্ধির অজুহাতে চালের দাম বেশি নিচ্ছেন মিলাররা।
তবে সরকারের মজুতকৃত চাল খোলাবাজারে ছেড়ে দিলে চালের দাম কম হতে পারে বলে জানিয়েছেন মিল মালিক সমিতির নেতারা
জানা গেছে, গত সপ্তাহের প্রতি কেজি ৬৪ টাকার মিনিকেট চাল ৬৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
আর ৭৪ টাকার বাসমতি চালের কেজি এখন ৭৫ টাকা ৫০ পয়সা।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ধানের দাম বৃদ্ধির কারন দেখিয়ে চালের দাম বাড়িয়েছেন মিলাররা।
এবিষয়ে এক খুচরা ব্যবসায়ী বলেন, চালের দাম বাড়ার কারণে আমাদের বেচাকেনা কমে গেছে।
এদিকে বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা একজন ক্রেতা বলেন, প্রতিনিয়তই চালের দাম বাড়ছে।
আমরা দিন আনি দিন খাই। এমনটা হলে আমরা কী ভাবে চলব। তবে সরকারের সংগ্রহে থাকা চাল বাজারে ছাড়লে দর কমবে বলে দাবি মিল মালিকদের।
কুষ্টিয়া মিল মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন প্রধান বলেন, দেশে ধানের মজুত কমে আসছে।
সরকারের হাতে যে পরিমাণ চাল রয়েছে, সেটি যদি খোলাবাজারে ছাড়া হয়, তাহলে চালের বাজারে অস্থিরতা থাকবে না।
কুষ্টিয়া মিল মালিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য মতে, খাজানগর এলাকার দেড় হাজারের বেশি অটো, সেমি অটো ও হাস্কিন মিলগুলোতে প্রতিদিন গড়ে ৪ হাজার ৭০০ মেট্রিক টন চাল উৎপাদন হয়।