কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে প্রকাশ্য দিবালোকে এক হত্যা মামলার আসামি সেলিম হোসেনকে(৪০) ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১ আগষ্ট) সকাল ১১ টার দিকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান।
নিহত সেলিম সদকী ইউনিয়নের চরপাড়া গ্রামের মৃত সেকেন আলীর ছেলে। নিহত সেলিম একই এলাকার হুমায়ন মন্ডল (৪৪) হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবারিক সূত্রে জানা গেছে, সেলিম একজন ভাটা শ্রমিক। প্রতিদিনের মতো আজও সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ভাটার কাজে যাচ্ছিলেন।
এসময় ওতপেতে থাকা প্রতিপক্ষের সাইদুল ইসলাম (৩৫), আসলাম হোসেন (৪০), রাজু আহমেদসহ (২৫) বেশ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। পরে তার চিৎকার শুনে স্বজন ও স্থানীয়রা রক্তাক্ত জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুমারখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার করেন। পথেই তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, ২০২০ সালের ৬ মে জমাজমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে চরপাড়া জামে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ আদায় করে বাড়ির ফেরার পথে হুমায়ন মন্ডলকে (৪৪) কুপিয়ে হত্যা করে প্রতিপক্ষরা।
পরের দিন ৭ মে নিহতের ছোট ভাই সাইদুল ইসলাম বাদী হয়ে ৩৬ জনের নামে কুমারখালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর ৯। সেই মামলায় নিহত সেলিমকে আসামি করা হয়েছিল।
কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, নিহত সেলিম একটি হত্যা মামলার আসামি ছিলো। প্রতিপক্ষরা আজ সকালে তাকে কুপিয়ে হত্যা করেছে। লাশ মর্গে পাঠানো হয়েছে। এলাকায় আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।