• শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গাংনীতে চার কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী আটক এই সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়ার যে কোন ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিহত করব-মাসুদ অরুন গাংনীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হরিণাকুণ্ডুতে আন্তঃ বিভাগ মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ গাংনীতে কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার গাংনীতে নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার গাংনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে নারীসহ চারজন আটক মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যৌথবাহিনীর অভিযানে এক লাখ টাকা জরিমানা গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারীকে পিটিয়ে জখম গাংনীতে ইঁদুর নিধন অভিযান উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

কুষ্টিয়ায় ভুয়া দলিলে জমি বিক্রয়

বিবর্তন প্রতিবেদক
Update : মঙ্গলবার, ১ আগস্ট, ২০২৩
কুষ্টিয়ায় ভুয়া দলিলে জমি বিক্রয়
কুষ্টিয়ায় ভুয়া দলিলে জমি বিক্রয়

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নের কান্দাবাড়ি মৌজার আরএস ৫৬২ নং দাগের ৮ শতক জমির মালিক কান্দাবাড়ি গ্রামের মোছা: বিউটি খাতুন, পিতা: আছের আলী শেখ মাতা আমিনা খাতুন এনআইডি কার্ডের নম্বর ৫০১৭১৯৪৫০৯২০৬। মোছা বিউটি খাতুন জমিটির ক্রয়সূত্রে মালিক। তিনি ১৯৭৯ সালের নভেম্বর মাসে ১৫ তারিখে ৪৩৭৭ নং খোস কবলা দলিলে জমিটি রিয়াজ উদ্দিনের কাছ থেকে ক্রয় করেন। ২০২৩ সালের ১২ এপ্রিল তার মালিকানাধীন ৮ শতক জমি আতিকুর রহমান নামের এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। আতিকুর রহমান ৭৫৮৫৯/১/২০২২-২০০৩ নং কেসে ১৬-০৬-২০২৩ তারিখে জমির নাম খারিজ করেন। এদিকে ওই জমি অপর একটি খারিজ কেসে খারিজ হয়েছে আমোদ আলী ও মজনু শেখ নামে দুই ব্যক্তির নামে ৭১৪০৯/১২০২২-২০২৩ নং কেসে ২২-০৫-২০০২৩ তারিখে খারিজ হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান করে জানা যায়,মূল মালিক জমি বিক্রির আগেই কুমারখালীর দলিল লেখক আল মামুন যার সনদ নং ৮৩। তার প্রতিবেশী দুর্গাপুর গ্রামের বিউটি খাতুন পিতা মোঃ মসলেম শেখ, মাতা হামিদা খাতুন এনআইডি নং ৪১৬২৭২৬১০৫ নামের এক মহিলাকে দিয়ে ওই জমি বিক্রি করে দিয়েছেন। দলিল লেখক আল মামুন ক্রেতা আমোদ আলী এবং বিউটি নামের ওই মহিলার যোগসাজসে ৮ শতক জমি আমোদ আলী ও ও মজনু শেখ নামের দুইজনের নামে ২৮/০৮/২০২২ তারিখে ৪৯৯ নং দলিলে রেজিষ্ট্রি হয়েছে। একজনের জমি আরেকজন রেজিষ্ট্রে করে দেয়ার পেছনে মোটা অংকের টাকা নিয়েছেন দলিল লেখক আল মামুন, সাব রেজিষ্টার মাহাবুবা মনির মিশু এবং বড় বাবু মোঃ আতাউল হক বলে অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি এসিল্যান্ডের সততা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ভুক্তভোগীরা। কিভাবে একই জমি দুই কেসে দুই নামে খারিজ হলো তাও প্রশ্নবিদ্ধ। এব্যাপারে জমির মালিক বিউটি খাতুন বলেন আমি বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানি না। ক্রেতা আমোদ আলী বলেন আমি কিনতে চাই নাই দলিল লেখক আমাকে বুদ্ধি দিয়ে কাজটি করিয়েছে। এব্যাপারে রেজিষ্ট্রি অফিসের বড় বাবু আতাউল হক বলেন, ভূল হতে পারে এর সাথে লেনদেনের কোন সম্পর্ক নেই। দলিল লেখক আল মামুনের সঙ্গে কথা বললে তিনি ক্ষমা প্রার্থনা করেন। সাব রেজিষ্ট্রারের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। সহকারী কমিশনার ভূমি মোঃ আমিরুল আরাফাত বলেন এই ধরণের অভিযোগ প্রায় আসে খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category