জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ ও চিরঞ্জীব বঙ্গবন্ধু’ আলোচনা সভা করেছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল মালিকদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো। রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে এটকো প্রেসিডেন্ট অঞ্জন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও ভাইস প্রেসিডেন্ট ইকবাল সোবহান চৌধুরীর সঞ্চালনায় সভায় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আমির হোসেন আমু এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সম্মানিত অতিথি হিসেবে যোগ দেন। আমির হোসেন আমু সভায় গণমাধ্যমকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘দেশের উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় পাকিস্তানি প্রেতাত্মার সাথে নয়, স্বাধীনতার পক্ষের সাথে থাকুন। ৭১-এর রাজাকার, ১৫ আগস্টের খুনিচক্র, ২১ আগস্টের ষড়যন্ত্রকারী ও পেট্রোলবোমা সন্ত্রাসীরা কখনো বাংলাদেশের উন্নয়ন চায়নি।’ তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘১৫ আগস্ট এবং ২১ আগস্টের হত্যাকান্ড কেবল হত্যাকান্ডই নয়, এটা মানবাধিকার লঙ্ঘন। রাজনৈতিক অভিলাষ চরিতার্থ করার জন্য পৃথিবীর কোথাও গত কয়েক দশকে এ ধরনের ঘটনা ঘটেনি। যেখানে ঘটেছে, জাতিগত সংঘাতের কারণে ঘটেছে। জিয়াউর রহমানের ক্ষমতা নিষ্কন্টক রাখতে যারা নির্মম হত্যাকান্ডের শিকার তাদের পরিবার আজকে ডুকরে ডুকরে কাঁদছে। অবরোধের নামে মানুষকে ১শ’ দিন ঘরের মধ্যে অবরোধ করে রাখা, এগুলো কি মানবাধিকার লংঘন নয়!’ গণমাধ্যম মানুষের ঠিক চিন্তা করতে, সমাজকে ঠিক তথ্য দিয়ে ঠিকখাতে প্রবাহিত করতে ও সার্বিকভাবে দেশ গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এই ধারাবাহিক মানবাধিকার লংঘনের কথাগুলো দয়া করে আপনারা উপস্থাপন করবেন। সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার ড. গোলাম রহমান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো: শরফুদ্দিন আহমেদ, এফবিসিসিআই সভাপতি মো: জসিম উদ্দিনসহ এটকোর পরিচালকবৃন্দ বাঙালি, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ প্রেক্ষিতে আলোচনা করেন।