পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা হাওরের মানুষের মুখে স্থায়ী হাসি দেখতে চান। এ কারণে তিনি হাওরে স্থায়ী প্রকল্প করছেন। যাতে আর হাওরের মানুষের কান্না দেখতে না হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। এমনকি বাংলাদেশী খাদ্য বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। দেশের কৃষিতে হাওরের মানুষের অনেক অবদান রয়েছেন। তিনি হাওরের মানুষের মুখে হাঁসি ফোটানোর জন্য কাজ করছেন। আজ রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশ (আইইবি)র সভাকক্ষে আইইবি’র টাস্ক ফোর্স অন ওয়াটার সেক্টর আয়োজিত “হাওরে সস্পদ ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক সেমিনারে তিনি তাঁর বক্তব্যে এসব কথা বলেন। এনামুল হক শামীম বলেন, প্রধানমন্ত্রী আগামীর বাসযোগ্য বিশ্বমানের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষে ডেল্টাপ্লান-২১০০বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন। আর এই মহাপরিকল্পনার ৮০ ভাগ কাজই পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়ন করবে। এটি বাস্তবায়িত হলে সারাদেশে নদীভাঙন ও জলাবদ্ধতার কোনো সমস্যাই থাকবে না। উপমন্ত্রী আরও বলেন, সারাদেশে নদীভাঙন রক্ষায় বিভিন্ন স্থায়ী প্রকল্প চলমান রয়েছে এবং নতুন নতুন প্রকল্প হাতে নেয়া হচ্ছে। এছাড়াও সারাদেশে নদীভাঙন এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে। সেখানে স্থায়ী বাঁধ করা হচ্ছে,বাঁধ প্রশস্তকরণ হচ্ছে, বনায়নও করা হচ্ছে। যেখানে যা করা প্রয়োজন,তাই করা হচ্ছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও জনগণের সঙ্গে কথা বলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা সবসময় হাওর অঞ্চল তথা বৃহত্তর সিলেটকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। তাই হাওর অঞ্চলের জন্য প্রয়োজনীয় সব কিছুই তিনি করছেন। একারণে, করোনাকালিন সময়ের দুই বছরও হাওরবাসী ফসল কেটে ঘরে তুলতে পেরেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কারণেই বাংলাদেশ আজ সবদিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে। আইইবি’র টাস্ক ফোর্স অন ওয়াটার সেক্টরের সভাপতি প্রকৌশলী মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন,পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি,আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, সিজিআইএসের নির্বাহী প্রকৌশলী ফিদা আবদুল্লাহ খান।