বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেছেন, এদেশের মানুষ সব সময় নির্বাচনকে উৎসবমুখর হিসেবেই দেখে। এবারও কিছু রাজনৈতিক দলের বিরোধীতা সত্ত্বেও ইতোমধ্যে সারাদেশে সাধারণ মানুষের মধ্যে নির্বাচনের উৎসবমুখর আমেজ তৈরী হয়েছে। নিজ বাসভবনে আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
নির্বাচনে আওয়ামী লীগের একাধিক প্রার্থীর বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্তে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে কি না, এমন প্রশ্নের জবাবে হানিফ বলেন এতে কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না। বরং উৎসবের আমেজ আরো বৃদ্ধি পাবে। কৌশলগত কারনেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে যাতে প্রত্যেকটা এলাকায় একাধিক প্রতিদ্বন্ধী প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিতে পারে এবং জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট প্রয়োগের মাধ্যমে নির্বাচিত করতে পারে সেই সুযোগ করে দেয়া হয়েছে। এতে করে উৎসবের মাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবে। তাতে বিশৃঙ্খলা হবার কোন সুযোগ নেই।
১৪ দলীয় জোট প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, চৌদ্দদলীয় জোট আছে থাকবে, আগামী ১৭ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ সময়। এই সময়ের মধ্যে ১৪ দলীয় জোটের বিষয়ে কার্যকরী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এ নিয়ে হতাশ বা বিভ্রান্তির কিছু নেই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটের সাথে আছে সেই জোটের ভিত্তিতেই আওয়ামী লীগ নির্বাচনে অংশ নিবে।
জোটে যারা আছে তাদেরকে যথাযথ মূল্যায়ন করা হবে। বিএনপি প্রসঙ্গে হানিফ বলেন, যেহেতু তারা নির্বাচনী মাঠে নেই। রাজনৈতিক দল হিসেবেও তারা দেশের মানুষের কাছে বিবেচিত হচ্ছেনা। তাদের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ডও রাজনৈতিক নয়, তারা এখন সন্ত্রাসী রাজনীতির মধ্যে চলে গেছে।
এসব সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে যারা জড়িত তাদের কথাবার্তা আমলে নেয়ার যৌক্তিকতা নেই। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু নিরপেক্ষ হবে। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ স্বাধীন। তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানে বদ্ধপরিকর। এসময় টানা চতুর্থবারের মতো কুষ্টিয়া সদর আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাওয়ায় দলীয় নেতাকর্মীরা ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।