মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের দফরপুর সড়কে নুরুল ইসলাম ফেলু নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সরকারি রাস্তা থেকে গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে। নুরুল ইসলাম ফেলু একই এলাকার কলিমদ্দিনের ছেলে।
বুধবার (৬ জুলাই) সকালে দফরপুর পাকা রাস্তার পাশ থেকে ১টি কড়ুই ও ১টি বাবলা গাছ কেটে সরিয়ে ফেলা হয়। গাছগুলোর দাম প্রায় ৪০ হাজার টাকা।
স্থানীয়রা জানান, সরকারি রাস্তা থেকে গাছ কেটে নেওয়ার কোন অনুমতি নেই। তারপরও প্রকাশ্যে দুটি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সকাল ১১টার মধ্যে গাছ দুটি কেটে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। গাছ দুটি চুরি করে কাটা হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দফরপুর গ্রামের একজন বলেন, খুব সকাল থেকে গাছ দুটি কাটা শুরু হয়। ফেলু এই গাছ দুটি কাটিয়েছেন। গাছ ও ডালপালা মাদ্রাসাতে রাখা আছে। নিজ চোখে সরকারি গাছ কাটা দেখলেও কিছু বলতে পারিনি। কিছু বলতে গেলেই আমাদের নানা সমস্যায় পড়তে হবে।
হাতিকাটা মোড়ের এক দোকানী বলেন, আমি ১১টার দিকে ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলাম। দেখি গাছ কেটে গাড়িতে তোলা হয়ে গেছে। সরকারি গাছ কে কেটেছে, কেন কেটেছে সেটা বলতে পারছি না।
সরেজমিন দেখা যায় দফরপুর সড়কে সারিবদ্ধভাবে বিভিন্ন প্রজাতির গাছ লাগানো রয়েছে। হাতিকাটা স্কুল পেরিয়ে সড়কের ঠিক পাশ থেকেই ১টি কড়ুই এবং ১টি বাবলা গাছে কাটা হয়েছে। গাছ দুটি ইসলাম মিশন সিদ্দিকীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে বিভিন্ন স্থানে জড়ো করে রাখা হয়েছে। মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে রাখা গাছের বিষয়ে জানতে চাইলে মাদ্রাসার কেউ কোন তথ্য দিতে পারেননি।
গাছ কাটার বিষয়ে মাদ্রাসার সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম ফেলু জানান, গাছগুলো মাদ্রাসার পক্ষ থেকেই লাগানো হয়েছিলো। অনেক গাছ উজাড় হয়ে গেছে। এই গাছ কাটার জন্য ইউনিয়ন পরিষদসহ অনেক জায়গায় গিয়েছিলাম। যেহেতু গাছ মারা গেছে এবং ডালপালা গুলোও ভেঙ্গে নিয়েছে। সবাই বলেছে কেটে নিতে কিন্তু লিখিত অনুমতি দেইনি। যেহেতু মরা গাছ তাই মাদ্রাসায় রান্নার কাজের জন্য কেটে মাদ্রাসায় রেখেছি। আমার ব্যক্তিগত কোন স্বার্থে কাটা হয়নি। একটা মহল ইর্শ্বানিত হয়ে অভিযোগ করতে পারে। কিন্তু তারাতো আগের যে গাছ উজাড় হয়েছে সেগুলো কেউ বললো না বাঁধাও দিলো না। প্রতিষ্ঠানের কাজেই লাগবে তাই কেটে প্রতিষ্ঠানেই দিয়েছি।