মেহেরপুরে জান-মালের নিরাপত্তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মেহেরপুর জেলা পূজা উদযাপন কমিটির সাবেক সহ সভাপতি ও জেলা যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সদস্য দেবাশিষ বাগচি।
মঙ্গলবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সোডাপ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপির ছোট ভাই সরফরাজ হোসেন মৃদুলের সাথে আমার ২০২১ সাল পর্যন্ত যৌথ ব্যবসা ছিলো। তার কাছে আমার মুলধন ও লাভ্যাংশসহ ২ কোটি ৫০ লাখ টাকা পাওনা। বিষয়টি প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ৭০ লাখ কমিয়ে মিমাংসা করে দেন।
কিন্তু মিমাংসা না মেনে আমাকে হয়রানি করে। সম্প্রতি আইনের অশ্রায় নেব বললে গত ১৬ জুলাই আমাকে ১ কোটি ৮০ লাখ টাকার একটি চেক দেন। আমি ২৪ জুলাই চেক জমা দিলে রুপালি ব্যাংক ২০২১ সালে থেকে হিসাবটি বন্ধ বলে চেকটি ডিজআনার করে। ৩০ আগস্ট আমি সরফোরাজ হেসেনের নামে উকিল নোটিশ পাঠায়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১লা সেপ্টম্বর পুলিশ দিয়ে আমার বাড়ি তল্লাশি চালায়।
বর্তমানে সরফরাজ হোসেন প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে আমাকে ও আমার পরিবারকে মানসিক ভাবে নির্যাতনসহ প্রাণনাসের হুমকী দিচ্ছে। আমাকে দেওয়া চেক ছিনিয়ে বা প্রশাসনিক ক্ষমতায় নিয়ে নেওয়া হলে এবং আমি ন্যায় বিচার না পেলে পরিবারসহ আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোন উপায় থাকবে না।
আমার পরিবারের জান মালের নিরাপত্তার জন্য মাননীয় প্রধনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করছি।
যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন, বিষয়টি দেবাশিষ বাগচি জেলা যুবলীগকে জানিয়েছে। আনেক টাকার বিষয় তাই আইন যা করবে তাই। তবে আমরা বিষয়টি যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি আশাকরি তারা ব্যবস্থা নেবে।
যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক সরফরাজ হোসেন মৃদুলের মোবাইল ফোনে মেসেজ ও একাধিকবার ফোন দিলে তিনি না ধরে ফোন কেটে দেওয়ায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।