অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু বলেছেন, প্রফেসর ইউনূস সাহেব আপনি সজাগ হন। আপনার জনপ্রিয়তা এখন কোন জায়গায় আছে।
নিজেকে একবার দেখুন। অথচ আমরা আপনাকে সম্মান করি, বয়োজ্যেষ্ঠ মানুষ। কিন্তু আপনার যে হ্যান্ডস, থানা থেকে জেলা। সেক্রেটারিয়েট এবং অন্যান্য অ্যাডমিনিস্ট্রেশনসহ সমস্ত যায়গায় স্বৈরাচারী হাসিনার লোক। তারা জনগণের শত্রু।
তিনি বলেন, আজ চালের দাম ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। ডাল-সয়াবিন তেল-চিনি অধিমূল্য। সবকিছু ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে গেছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ২টার দিকে কুষ্টিয়া শহরের নিশান মোড় এলাকায় একতা খেলার মাঠে জেলা বিএনপি আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বাংলাদেশের সব তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছয় মাসের মধ্যে সুন্দরভাবে শেষ করেছে। আপনারা সেই পথে হাঁটুন । তা-না হলে কোনো বিপর্যয় যদি হয়, তার দায়দায়িত্ব বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনগণের মুখ থেকে কিন্তু অনেক কিছু বের হয়েছে। আজ থেকে ছয় মাস আগে আপনি রাষ্ট্র দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন। ছয় মাস আগে আপনার যে বিশ্বময় ও বাংলাদেশের মানুষের ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা ছিল। আজকে একটু শুনে দেখেন, সেটি আজকে কোন জায়গায় গিয়েছে। বিশ্বের নেতৃবৃন্দ অনেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খুনি হাসিনার সময় সমস্ত কিছু হারিয়ে নিঃস্ব হয়ে গিয়েছিল। ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা দীর্ঘ ১৭ বছর ধরে হাজার হাজার আমাদের ভাইদেরকে গুলি করে হত্যা করেছে।
আমরা কারাগারে গিয়েছি, আমরা গুলি খেয়েছি, আমরা সবাই নির্যাতিত হয়েছি। ছাত্র-জনতার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল সর্বোচ্চ ত্যাগ শিকার করছে। ১৭ বছর ধরে আন্দোলন-সংগ্রাম করেছি, জীবন বিসর্জন দিয়েছি, কারাগারে গিয়েছি। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা চিরদিনের জন্য বাংলাদেশ থেকে চলে গেছেন।
কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কুতুব উদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে ও জাকির হোসেন সরকারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি হিসেবে মঞ্চে উপস্থিত রয়েছেন, কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য, সাবেক এমপি সৈয়দ মেহেদী আহমেদ রুমী।
জেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কুষ্টিয়া সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অধ্যাপক শহিদুল ইসলাম, দৌলতপুর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও দৌলতপুর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য রেজা আহমেদ বাচ্চু মোল্লা, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার রাগীব রউফ চৌধুরী, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফরিদা ইয়াসমিন।
নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখা, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি, দ্রুত গণতান্ত্রিক উত্তরণে নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা এবং পতিত ফ্যাসিবাদের ষড়যন্ত্র মোকাবিলাসহ বিভিন্ন দাবিতে এ কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।