আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে যুক্তরাষ্ট্র ধারণা করা হচ্ছিল । কিন্তু তার তিন মাস আগেই কিছু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, সরকারি ও বিরোধী দলের নেতা-কর্মী এবং তাদের পরিবারের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে দেশটি।
এর মাধ্যমে গত এপ্রিল মাসে বাংলাদেশ-কেন্দ্রিক যে ভিসানীতি ঘোষণা করা হয়েছিল, সেটির প্রয়োগ শুরু করলো যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও বাংলাদেশির ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়ার আশঙ্কার কথাও জানানো হয়েছে।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথু মিলার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান, আইন-শৃংখলা বাহিনী, সরকারি ও বিরোধী দলের যেসব সদস্য বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে খাটো করার চেষ্টা করছে, তাদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হলো। বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণভাবে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে সহায়তা করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তবে ওই ব্যক্তিদের তালিকা প্রকাশ করা হয়নি।
বিবৃতিতে বলা হয়, যেসব ব্যক্তিদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, তারা এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নাও দিতে পারে। যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্থ করবে, তাদের ওপরও ভবিষ্যতে ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে। এরমধ্যে রয়েছেন, বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা, সরকারি ও বিরোধী দল, আইন-শৃংখলা বাহিনী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা সংস্থার সদস্য।
উল্লেখ্য, জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইডলাইনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন ও পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের একাধিক কর্মকর্তার বৈঠক হয়েছে।