• শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:১০ অপরাহ্ন

চাঞ্চল্যকর কণিকা হত্যা মামলায় মালেকের মৃত্যুদণ্ড বহাল

বিবর্তন ডেস্ক
Update : বুধবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০২২
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দেবে সাংবাদিকদের আয়কর: হাইকোর্টের রায়
সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান দেবে সাংবাদিকদের আয়কর: হাইকোর্টের রায়

চাঞ্চল্যকর স্কুলছাত্রী কণিকা রানী ঘোষকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আসামি আব্দুল মালেককে বিচারিক আদালতের দেওয়া মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন হাইকোর্ট। চাঁপাইনবাবগঞ্জের সদর উপজেলার গোবরাতলা ইউনিয়নের মহিপুরের কণিকা রানী ঘোষকে হত্যার এ মামলার মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য ডেথ রেফারেন্স গ্রহণ এবং আসামির জেল আপিল খারিজ করে বিচারপতি এ এন এম বসির উল্লাহ ও বিচারপতি মুহম্মদ মাহবুব-উল ইসলামের অবকাশকালিন হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) এ রায় দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি এ তথ্য নিশ্চিত করেন। আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী নারগিস আক্তার।

২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় চাঁপাইনবাবগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালত আব্দুল মালেককে মৃত্যুদণ্ড দেন। আসামি মালেক  গোবরাতলা ইউনিয়নের বালুগাঁ দিয়াড় গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে। বিচারিক আদালতের রায়ের পর নিয়ম অনুসারে মৃত্যুদণ্ডাদেশ অনুমোদনের জন্য নথি হাইকোর্টে আসে। পাশাপাশি আসামি জেল আপিল করেন।

মামলার বিষয়ে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি জানান, ২০১৬ সালের ২৭ মে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার দিয়াড় ধাইনগর গ্রামের লক্ষণ ঘোষের মেয়ে স্থানীয় মহিপুর এসএএম দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী কণিকা রানী ঘোষ তার তিন বান্ধবী তারিন আফরোজ, তানজিমা আক্তার ও মরিয়ম আক্তারকে নিয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়ি ফিরছিল। পথে মহিপুর ডিগ্রি কলেজের পেছনের সড়কে আব্দুল মালেক ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। কিছু বুঝে উঠার আগেই অস্ত্র দিয়ে ওই চার ছাত্রীকে কোপাতে থাকে। মালেকের হাসুয়ার আঘাতে কণিকাসহ তার তিন বান্ধবী তারিন, মরিয়ম ও তানজিমা গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে এলে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা কণিকা রানী ঘোষকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় ওই দিনই নিহত কণিকার মা অঞ্জনা রানী ঘোষ বাদী হয়ে বখাটে মালেকের বিরুদ্ধে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে একই বছরের ৭ অক্টোবর বখাটে আব্দুল মালেকের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। মাত্র ১৫ কার্যদিবসে ২১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে পরের বছরের ১ ফেব্রুয়ারি আসামির উপস্থিতিতে ওই রায় ঘোষণা করা হয়। বিচারিক আদালতের রায়ে আদালত কণিকাকে হত্যার জন্য ঘাতক আব্দুল মালেককে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং অপর তিন ছাত্রীকে হামলায় তাকে ১০ বছর,  ১৪ বছর ও ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category