গুগল ম্যাপ নেভিগেশন টুলসগুলোর মধ্যে বেশ ভালো। বলতে পারেন সেরা। কিন্তু এর মধ্যে রয়েছে নানা ধরনের সেবা, যা অনেকের অজানা। অ্যানড্রয়েড বা আইফোন যে ধরনেরই স্মার্টফোন হোক, গুগল ম্যাপ আপনাকে সহজেই আপনার গন্তব্যে পৌঁছে দেবে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক নতুন পাঁচ বৈশিষ্ট্য।
১. দূরত্ব
কোথাও হেঁটে যাওয়ার পরিকল্পনা করলে আগে থেকেই দূরত্ব জানলে বেশ সুবিধাজনক। তা জানতে ম্যাপের গন্তব্যে মাউসের রাইট বাটনে ক্লিক করুন বা ফোনে খানিকক্ষণ ট্যাপ করে রাখুন। দুই পয়েন্টে দুটো পিন বসিয়ে ‘মেজার ডিসট্যান্স’ অপশন সিলেক্ট করলেই বের হয়ে যাবে দূরত্ব।
২. স্টপেজ বাছাই
অনেক সময় কোথাও যাওয়ার আগে আরো অনেক জায়গায় থামার প্রয়োজন হয়। সে ক্ষেত্রে গুগল ম্যাপে আছে ‘অ্যাড স্টপ’ অপশন। প্রথম গন্তব্য সিলেক্ট করে তারপর মোবাইলের ডান কোনায় থাকা তিনটি ডট থেকে বেছে নিন ‘অ্যাড স্টপ’ অপশন। এরপর দ্বিতীয় গন্তব্য সিলেক্ট করে আবারও একই কাজ করুন। প্রতিটি ‘ডেসটিনেশন’-এ যাওয়ার সম্ভাব্য সময়সীমাও দেখতে পাবেন এতে।
৩. টাইম ট্রাভেল
সত্যিকারের অতীতে না যেতে পারলেও গুগল ম্যাপের ‘স্ট্রিট ভিউ’ অপশন থেকে দেখতে পাবেন একই রাস্তার আগের চিত্রগুলো। অনেক দিন পর আসার কারণে কোনো একটি রাস্তা চিনতে সমস্যা হলে স্ট্রিট ভিউয়ের কোনো একটি লোকেশন সিলেক্ট করে ‘ডেট’ বা তারিখ অপশনে যান। এরপর সেখানে ২০০৮ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ওই রাস্তা দেখতে পাবেন।
৪. গোপন গন্তব্য
গুগল ম্যাপ চালু থাকলে আপনার আসা-যাওয়ার রাস্তাটাও থেকে যাবে হিস্ট্রিতে। এমনটা না চাইলে ডান কোণে থাকা গুগল ম্যাপের ইউজার আইকনে ক্লিক করে সিলেক্ট করুন ‘টার্ন অন ইনকগনিটো মুড’। এতে আপনার গুগল ম্যাপ সার্চ ও নেভিগেশন সেভ থাকবে না।
৫. নিজের মতো মানচিত্র
নতুন কোথাও মজার মজার জায়গার দেখা পেলে সেটার একটা মানচিত্র তৈরি করে রেখে দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে ডেস্কটপই ভরসা। বামে ওপরের কোণে গিয়ে প্লেসেস>ম্যাপস>ক্রিয়েট ম্যাপস সিলেক্ট করুন। এরপর নিজের মতো মার্কার, ডিরেকশন ও রুট তৈরি করে নিতে পারবেন।
সূত্র : টি থ্রি ডটকম