ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উদাসীনতা
মেহেরপুরের গাংনী খাদ্য গুদামের বাস্তব চিত্র জানেনা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। কর্মস্থলে থাকেন না খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি এলএসডি) হাসান সাববীর। তিনি প্রতিদিনই চলে যান গ্রামের বাড়িতে। এসআই পদ শূণ্য তাই দারোয়ানের ভরসায় কোটি কোটি টাকার সম্পদ। তবে কর্মকর্তারা জানে তিনি স্টেশনেই থাকেন, যা বাস্তবতায় ভিন্ন।
সারাদেশের মতই মেহেরপুরের তিন উপজেলার তিনটি গুদামে পর্যাপ্ত পরিমানে ধান, চাল মজুদ রয়েছে। এসকল খাদ্য গুদামের মালামাল রক্ষায় খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের জন্য গুদামের সীমানার মধ্যেই আবাসিক ব্যবস্থা আছে। ইতোপূর্বেও কর্মকর্তারা স্টেশনেই অবস্থান করতো।
বর্তমান ওসি এলএসডি হাসান সাববীর যোগদানের প্রায় দেড় বছর হতে চলেছে। কিন্তু মাসে দুই বা তিন দিনের বেশি কর্মস্থলে থাকেন না। ধান, চাল ক্রয় অথবা চাল বিতরণকালেও রাতে গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুরে চলে যান।
পূর্বের অফিসের সময় সূচিতে দেরি করে আসলেও বিকাল ৫ টার আগেই কর্মস্থল ত্যাগ করার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার ক্ষেত্রে সরকারী বিধি বিধানে কর্মস্থলেই অবস্থান করার বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানছেন না তিনি।
মঙ্গলবার দুপুর তিনটায় সরেজমিনে গেলে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার অফিস কক্ষ তালাবদ্ধ দেখা যায়। এসময় অফিসের এক কর্মচারী জানান, স্যার আজ আসেননি। স্যার গতকাল এসেছিলেন বিকেলে প্রাগপুরের বাড়ি থেকে আজ কুষ্টিয়াতে গেছেন।
এ বিষয়ে খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি এলএসডি) হাসান সাববীর বলেন, আমার অনেক কাজ করতে হয়। আমার এখানে এসআই নেই তাই সব কাজ এবং আমাকে একাই করতে হয়। তবে অফিসের পর তিনি কর্মস্থল কিভাবে ত্যাগ করেন তার কোন জবাব মেলেনি।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো: মনোয়ার হোসেন জনান, আমিতো জানি তিনি খাদ্য গুদামেই থাকেন। জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক (ভারপ্রাপ্ত) মো: মনিরুজ্জামান জানান, ওসি এলএসডি হাসান সাববীরতো গাংনী খাদ্য গুদামেই থাকেন। আচ্ছা আমি বিষয়টি দেখবো।