কোভিড-১৯ ভাইরাসের নমুনা পরীক্ষার ভূয়া রির্পোট দিয়ে প্রতারণার মামলায় ডা. সাবরিনা চৌধুরী ও তার স্বামী জেকেজি হেলথকেয়ারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) আরিফুল হক চৌধুরীসহ ৮ আসামির ১১ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায়ে দণ্ডবিধির ৪২০ ধারায় ৩ বছর কারাদণ্ড, ৩ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও ৩ মাস কারাভোগ করতে হবে। দণ্ডবিধির ৪৬৬ ধারায় ৪ বছরের কারাদণ্ড, ৪ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৪ মাস কারাভোগ করতে হবে।
এছাড়াও দণ্ডবিধির ৪৭১ ধারায় ৪ বছরের কারাদণ্ড, ৪ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ৪ মাস কারাভোগ করতে হবে। সবগুলো সাজা একটির পর একটি কার্যকর করা হবে বলে রায়ে বলা হয়েছে।
রায় ঘোষণার দিন থাকায় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আসামীদের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়।
এসময় তাদের রাখা হয় আদালতের হাজতখানায়। পরে তাদের আদালতে ওঠানো হয়।
অপর দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, তানজীনা পাটোয়ারী ও স্বামী হুমায়ুন কবির, জেকেজি হেলথকেয়ারের নির্বাহী কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম, প্রতিষ্ঠানটির ট্রেড লাইন্সেসের স্বত্বাধিকারী জেবুন্নেছা রিমা ও বিপ্লব দাস।
এর আগে, গত ২৯ জুন রাষ্ট্রপক্ষ ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন আদালত। গত ১১ মে আসামিরা নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের নিকট ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেন। গত ২০ এপ্রিল সর্বশেষ সাক্ষী হিসেবে তৎকালীন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূঁইয়া সাক্ষ্য দেন। এসময় তার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ সমাপ্ত করেন।
মামলাটিতে ৪০ জন সাক্ষীর মধ্যে ২৬ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করলেন আদালত। ২০২০ সালের ২০ আগস্ট সাবরিনাসহ ৮ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করেন আদালত।
জানা গেছে, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় করোনা শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষা না করেই ২৭ হাজার মানুষকে রিপোর্ট দেয় ডা. সাবরিনা ও তার স্বামীর প্রতিষ্ঠান জেকেজি হেলথকেয়ার। এর বেশিরভাগই ভুয়া বলে ধরা পড়ে।
এ অভিযোগে ২০২০ সালের ২৩ জুন অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলা করা হয়। এরপর ৫ আগস্ট এ মামলায় ঢাকা সিএমএম আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক লিয়াকত আলী।