• মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫, ০৫:২৫ অপরাহ্ন

কুমারখালীতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ

জিয়াউর রহমান, কুষ্টিয়া:
Update : রবিবার, ৫ অক্টোবর, ২০২৫
কুমারখালীতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ
কুমারখালীতে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে বালু লুটের অভিযোগ

কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ইজারা নেওয়া বালু মহাল থেকে তোলা প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার বালু লুটের অভিযোগ উঠেছে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। উপজেলার কয়া ইউনিয়নের রায়ডাঙ্গায় এ ঘটনা ঘটেছে।

শনিবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে ইজারা নেওয়া প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম এ নিয়ে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।

স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, ২০২৪ সালের ২৩ জুন গড়াই নদী ড্রেজিং ও তীর সংরক্ষণ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় নদী ড্রেজিং করে ৬ লাখ ২০ হাজার ঘনমিটার বালু বিক্রয় করে অপসারণের দরপত্র আহ্বান করে পাউবো। সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে পাঁচ কোটি ১৭ লাখ টাকায় ইজারা পায় কয়ার মেসার্স প্রিয়াংকা ব্রিকস।

প্রতি মাসে ১০ লাখ টাকা জমা প্রদান শর্তে ইজারাদার বালু বিক্রির কার্যক্রম শুরু করে। কিন্তু স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলে ব্যর্থ হলে গত ১২ সেপ্টেম্বর বালু বিক্রি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন করে এবং বালু অপসারণ কাজ বন্ধ করে দেয়।

এরপর থেকে গত কয়েকদিনে প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার বালু লুট করে কয়া ইউনিয়নের রায়াডাঙ্গা ঈদগাহ ও রায়ভাগা কবরস্থানে বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি করেছে প্রভাবশালীরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, কয়ার রায়ডাঙ্গা কবরস্থানের পিছন দিকে অবস্থিত গড়াই নদী। সেখানে নদীতে বসানো রয়েছে দুটি অবৈধ ড্রেজার। পাইপের সাহায্যে বালু ফেলা হচ্ছে গোরস্তান সংলগ্ন সৌদি প্রবাসী সাইদুল ইসলামের আমবাগানে। ভরাট করা হয়েছে রায়ডাঙ্গা ঈদগাহ মাঠও।

এ সময় ড্রেজার পরিচালনাকারী স্থানীয় হাসেম আলী বলেন, মাসখানেক হল নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু তুলছি। এতদিন ঈদগাহ ও কবরস্থানে দিছিলাম। প্রতি ফিট ৪ টাকা দরে দুদিন ধরে সাইদুলের আমবাগানে দেওয়া হচ্ছে।

তার ভাষ্য, গেল একমাসে তিনি প্রায় ২৫ হাজার ঘনফুট বালু বিক্রি করেছেন। কয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি মাসুদ রানা বলেন, এতদিন আমরায় বালু তোলার বিরোধিতা করেছি। কিন্তু ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বালু তোলা হচ্ছে।

প্রিয়াংকা ব্রিকসের ব্যবস্থাপক রাকিবুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় প্রভাবশালীরা ব্যক্তিগত সুবিধা না পেয়ে ১২ সেপ্টেম্বর মানববন্ধন করে বালু বিক্রি বন্ধ করেছিলেন। কিন্তু তারা এখন ইজারা করা বালু লুট করে বিক্রি করছে। এতদিনে প্রায় দেড় লাখ ঘনমিটার বালু লুট করেছে প্রভাবশালীরা। বালুর ঘটনায় লিখিত জিডির কথা স্বীকার করে কুমারখালী থানার ওসি খন্দকর জিয়াউর রহমান বলেন, আইনগত ব্যবস্থাও নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মিকাইল ইসলাম বলেন, বালুর ইজারা দিয়েছে পাউবো। বালু লুটের ঘটনায় একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category