মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য মাসুদ অরুন বলেন, আজকের এই বিশাল জনসুমদ্র প্রমাণ করে দিয়েছে বাংলাদেশ দুইবার জনতা সিপাহী স্বাধীন করেছিল। একবার ৭ই নভেম্বর জনতা এবং সিপাহীরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত করেছিল।
মাঝখানে অনেক সময় গিয়েছে। অনেক ধৈর্য ধরে ছিলাম। মেহেরপুরে পাঁচ হাজার আটশত মামলার আসামি। অনেক কষ্ট স্বীকার করেছি। আমাদের ২৭ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। অনেক লড়াই করেছি, অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। তারপরও আমরা বিশ্বাস করতাম যদি আমরা রুখে দাঁড়াতে বলি, ঘুরে দাঁড়াতে বলি আমার মানুষ ঘুরে দাঁড়াবে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) বিকেলে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র আয়োজনে ঐতিহাসিক জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে তিনি আরও বলেন,প্রশাসনকে বলি মনে রাখবেন ৫ তারিখে জয় বাংলার দিন শেষ হয়ে গেছে। প্রথম জেলা প্রশাসন ডিসি সাহেবকে বলি জনগণের বিরুদ্ধে, গণঅভ্যুত্থানকে সহযোগিতার বিরুদ্ধে কোন ষড়যন্ত্র হলে হাসিনা পাঠাতে সময় লেগেছে ৪৫ মিনিট আপনাকে অত সময় লাগবে না। পুলিশ প্রশাসনের ভাইদের বলি পরিপূর্ণ সহযোগিতা আমরা করেছি তিন মাস।
এসপি সাহেবের বারান্দায় আওয়ামী লীগ ঘোরাফেরা করবে তা হবে না। আওয়মী লীগ অপশক্তিকে যারা পৃষ্টপোষকতা করবেন আমি বলি আমার মানুষ যদি ঘিরে দাঁড়ায় গরমে মরে যাবেন। গুলি করা লাগবে না, অন্যভাবে মারা লাগবে না আমার মানুষ যদি ঘিরে দাঁড়ায় কামার, কুমার, জেলে, তাঁতী, ক্ষেতমুজুর, ছাত্রজনতা গরমে মারা যাবেন। বুঝে শুনে চলবেন। এই সরকার এসেছে রক্তের উপর দাঁড়িয়ে। এই সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়ার যে কোন ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিহত করবো ইনশাআল্লাহ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মারুফ আহম্মেদ বিজন। বক্তব্য রাখেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ইলিয়াস হোসেন, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, সদর উপজেলা বিএনপির সাধরণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহিদ হোসেন।
সমাবেশ শেষে মেহেরপুর কলেজ মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে সামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়। সমাবেশ ও মিছিলে সদর উপজেলা ও পৌর বিএনপি’র বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহণ করে।