পেটে যন্ত্রণা, পেশিতে ব্যথা ঋতুস্রাবের বেশ কিছু দিন আগে থেকে এমন কিছু উপসর্গ দেখা দিতে শুরু করে। এগুলি ছাড়াও ঋতুস্রাবের সময় এগিয়ে আসছে তা জানান দিতে ত্বকে ব্রণ বেরোতে শুরু করে। তৈলাক্ত ত্বকের ক্ষেত্রে এমনিই সারা বছর ব্রণর মরসুম। তার উপর মরার উপর খাঁড়ার ঘায়ের মতো সমস্যা বাড়ায় ঋতুস্রাবকালীন এই ব্রণগুলি। ঋতুস্রাব যত দিন চলবে ব্রণগুলির মেয়াদও ততদিন। ঋতুকালীন সময়ে হরমোনে কোনও সমস্যা দেখা দিলে সাধারণত এমন ঘটে। ‘পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোম’ অর্থাৎ পিসিওএস-এর সমস্যা থাকলেও কিন্তু ঋতুস্রাবকালীন সময়ে ব্রণ হতে পারে। পুজোর সময় এমন হলে কিন্তু মুশকিল। সু্ন্দর পরিপাটি করে সাজলেন, কেতাদুরস্ত পোশাক পরলেন অথচ মুখভর্তি ব্রণ সাজের মার্ধুয নষ্ট হয়ে যাবে এক নিমেষে। এমন যদি হয়ে থাকে, তা হলে ঘরোয়া উপায়ে তাড়াতে পারেন ব্রণ। রইল কয়েকটি টোটকা।
ত্বকের অনেক সমস্যা সারাতে অ্যালোভেরা জাদুর মতো কাজ করে। ব্রণ দূর করতে অ্যালোভেরার মতো টোটকা খুব কম রয়েছে। ঋতুস্রাবকালীন ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পেতে ভরসা রাখতে পারেন অ্যালোভেরার উপর। ত্বকে ব্রণ চোখে পড়লেই পুরু করে অ্যালোভেরার জেল লাগিয়ে নিন। বেশি ক্ষণ রাখবেন না। কয়েক মিনিট রাখার পর ধুয়ে ফেলুন। উপকার পাবেন।
হলুদ
ত্বকের পরিচর্যায় হলুদের জুড়ি মেলা ভার। ঋতুস্রাবকালীন ব্রণ সামলাতে হলুদ হতে পারে অস্ত্র। কাঁচা হলুদ বেটে ব্রণর উপরে প্রলেপ লাগান। ২০ মিনিট রেখে দিন। হালকা শুকিয়ে এলে ধুয়ে নিন। ব্রণ চলে যাবে।
তুলসি
ব্যথা-বেদনা, সর্দি, কাশির মতো অসুস্থতা দূর করতে তুলসি পাতা দারুণ উপকারী। অনেকেরই হয়তো জানা নেই, তুলসি কিন্তু ব্রণ তাড়াতেও সক্ষম। ঋতুস্রাব চলাকালীন দেখা দেওয়া ব্রণ দূর করতে কাজে লাগান তুলসি পাতা। দাগছোপ সহ ব্রণ দূর করতে তুলসি পাতা বেটে সেই মিশ্রণটি ব্রণর উপর লাগান। হাতেনাতে ফল পাবেন।