ঝিনাইদহ সদর উপজেলার চন্দ্রজানি গ্রামে আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের দ্বন্দ্বের জেরে এক নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে আহত করেছে প্রতিপক্ষ। শনিবার (৪ মে) বিকাল সাড়ে চারটার দিকে এ ঘটনা ঘটে। আহত আবু সায়েম মোল্লা (৫০) হরিশংকরপুর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি চন্দ্রজানি গ্রামের ওমর আলীর ছেলে। এ ঘটনায় দুজনকে আটক করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছেন। তবে তাঁদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। আহত সায়েমকে গুরুতর অবস্থায় সদর হাসপাতাল থেকে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়েছে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসা কর্মকর্তা সুলতানা মেফতাহুল জান্নাত বলেন, আবু সায়েমের পায়ে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে। তাঁর ডান পায়ের আঘাত গুরুতর। তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় লোকজন বলেন, হরিশংকরপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগের সদস্য আবদুল্লাহ আল মাসুম এবং বর্তমান চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি খন্দকার ফারুকুজ্জামান ফরিদের মধ্যে এলাকায় আধিপত্য নিয়ে বিরোধ আছে। কয়েক দিন ধরে ইউনিয়নের বাকড়ি, পরানপুর, চন্দ্রজানি গ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাসুম বলেন, খন্দকার ফারুকুজ্জামান তাঁর শক্তি দেখিয়ে এভাবে নিরীহ মানুষের ওপর হামলা করছেন। এভাবে একটা মানুষের কারণে ইউনিয়নের অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে না। এর সমাধান জরুরি।
অভিযোগের বিষয়ে হরিশংকরপুর ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান খন্দকার ফারুকুজ্জামান বলেন, আমি ঘটনার বিষয়ে কিছুই জানি না। কারণ তখন আমি থানায় ছিলাম। পরে শুনলাম, মাসুমের সমর্থক চন্দ্রজানি গ্রামের কয়েকজন রাজিয়া বেগম নামের একজনকে বিকেলে মারধর করে। এ ঘটনার পর ওই নারীর স্বজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে আবু সায়েমকে মারপিট করেছে।
সদর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। মূলত আধিপত্য বিস্তারের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।