মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার আড়পাড়া গ্রামের শমসের আলী আওয়ামী লীগের কেউ নয়। তিনি এক সময় জামায়াতের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময়ে সে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছে। কখনও আওয়ামী লীগের পক্ষে ছিলেন না। আওয়ামী শক্তি বিরোধী মানুষ হিসেবে সে পরিচিত।
ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ‘ক’ ইউনিট আওয়ামী লীগের সভাপতি আলী আজগরসহ নেতৃবৃন্দ শমসের আলীর দলীয় পরিচয়ের বিষয়ে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে এ বিষয়ে তারা গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলের বাস ভবনে মিডিয়াকর্মীদের কাছে বিবৃতি দেন।
বিবৃত্তিতে আলী আজগর বলেন, আড়পাড়া গ্রামের শসমের আলী একজন আওয়ামী লীগ বিরোধী মানুষ। বিগত জোট সরকারের সময় আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে নেতাকর্মীদের উপর যতো জুলুম নির্যাতন চলছে তার পেছনে শসমের আলীর হাত ছিল। মূলত আড়পাড়া গ্রামের বাসিন্দা উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুলসহ নেতাকর্মীদের ধ্বংস করাই ছিল শসমের আলী মূল উদ্দেশ্য। কারণ মুকুলকে সরিয়ে দিতে পারলেই শসমের আলী এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে পারতো।
বিবৃতিতে আলী আজগর বলেন, জামায়াত নেতা রবিউল ইসলামসহ যারা নির্যাতনে নেতৃত্ব দিয়েছিল তাদের অন্যতম অনুসারী ছিলেন শসসের আলী। তার নামে নাশকতার বেশ কয়েকটি মামলা রয়েছে।
আওয়ামী লীগের এক নেতা শসমের আলীকে দলে ঢোকানোর চেষ্টা করেছে উল্লেখ্য করে তিনি বলেন, শমসের আলী নাশকতা মামলা থেকে রক্ষা পেতে আওয়ামী লীগের এক নেতার আশ্রয় নেয়। ওই নেতার মদদেই সে দলীয় পরিচয় দিয়ে বেড়াচ্ছে।
তিনি বলেন, শমসের আলী কখনও দলের লোক ছিলেন না এবং এখনও আওয়ামী লীগের কেউ না। ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কোন পদেই তার নাম নেই। ইউনিয়নের কোন কমিটিতেই শমসের আলীর কোন অস্তিত্ব নেই। কাজেই সে যদি আওয়ামী লীগ পরিচয় দেয় তাহলে অগ্রাহ্য করার জন্য সকলের প্রতি আহবান জানান তিনি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ধানখোলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন ও সহ সভাপতি বিল্লাল হোসেনসহ নেতৃবৃন্দ।