মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমীর মাওঃ তাজউদ্দীন খান বলেন, এমন একটি সমাবেশ করবো, মানুষের সুখ দুঃখের কথা আপনাদের সামনে তুলে ধরবো এই সুযোগ ১৭টা বছর পাইনি। দেশে এমন একটি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জনগণ নির্বাচনকে নির্বাচন হিসেবে দেখতে পাইনি। নির্বাচনকে নিবার্সনে পাঠানো হয়েছিল। ইলেকশনকে সিলেকশনে পরিণত করা হয়েছিল। এদেশের জনগণের উপার্জিত সম্পদ বিদেশে পাচার করা হয়েছিল। অর্থনীতিকে ধ্বংস করে দিয়েছে। শুধু অর্থনীতিকেই শেষ করা হয়নি। শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করা হয়েছে। বিসিএস এর প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে, মেডিকেলের প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে এমনকি ক্লাস থ্রীর প্রশ্নও ফাঁস হয়েছে। একটা জাতীকে ধ্বংস করতে তাদের শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করায় যথেষ্ট। এই শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে আরেকটি রাষ্ট্রের তাবেদার বানিয়েছিলেন।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ বাজারে মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র হতে একটি পরিবার ৫৭ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে। এদেশকে লুটপাট করা হয়েছে। ১৭টি বছর আমাদের বিপক্ষে সমস্ত মিডিয়াকে ব্যবহার করা হয়েছে। বিভিন্ন অপবাদ দিয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়েছে কিন্তু আমরা দেশ ছাড়িনি। আমাদের দেশের গর্ব সেনাবাহিনীকে শেষ করা হয়েছে। ৯ মাসের যুদ্ধে যেখানে মাত্র ৫১ জন সেনা অফিসার মারা গিয়েছিল সেখানে এক দিনের পরিকল্পনায় ৫৭ জন সেনা অফিসারকে হত্যা করা হয়েছে।
মুজিবনগর উপজেলা জামায়াতের আমীর খানজাহান আলীর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন, জেলা জামায়াতের বায়তুলমাল জারজিস হুসাইন, পৌর আমীর ও সাবেক কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার, মেহেরপুর সদর শাখার আমীর মাওঃ সোহেল রানা, মুজিবনগর উপজেলা আমির মাওঃ ফিরাতুল ইসলাম নাঈম, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্র শিবিরের সভাপতি আবু তালহা।
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন মুজিবনগর উপজেলা জামাতের সহকারি সেক্রেটারি মোস্তাফিজুর রহমান, মুজিবনগর উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন সভাপতি ফজলুল হক গাজী, উপজেলা পেশাজীবী বিভাগের সেক্রেটারি মোশারফ হোসেন, উপজেলা বাইতুলমাল সেক্রেটারি আমির হোসেন, উপজেলা সমাজ কল্যাণ সেক্রেটারি আমিনুল ইসলাম, দারিয়াপুর ইউনিয়ন জামাতের আমির আব্দুল হালিম, মোনাখালী ইউনিয়ন আমির মোখলেসুর রহমান, বাগওয়ান ইউনিয়ন আমির মাওলানা ফারুক হোসেন, মহাজনপুর ইউনিয়ন আমির আব্দুল হামিদ প্রমূখ।
এর আগে কেদারগঞ্জ এমবিআর মার্কেট হতে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে চার রাস্তার মোড়ে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।