বাংলাদেশে ১৮ থেকে ৩০ বছর বয়সী ধূমপায়ীর সংখ্যা প্রায় ১ কোটি ৫০ লক্ষ। দেশের এই বিশাল জনগোষ্ঠী টাকার বিনিমিয়ে রোগ ও মৃত্যু ক্রয় করছে। এই বয়সী ধূমপায়ীদের ধূমপানের পেছনে গড় মাসিক ব্যয় প্রায় সাড়ে ৪ হাজার কোটি টাকা। অর্থাৎ ধূমপান ছেড়ে সেই টাকা সঞ্চয় করলে বছরে ৫০ হাজার কোটি টাকারও অধিক সঞ্চয় হতো।
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) সকাল সাড়ে ১০টায় তামাকের ওপর কর বৃদ্ধি স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও সঞ্চয় শীর্ষক সেমিনারের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এ সকল তথ্য উপস্থাপন করা হয়।
বিইআর এর সেমিনার কক্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনৈতিক গবেষণা ব্যুরো (বিইআর) ও বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর ট্যোবাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) যৌথভাবে এ সেমিনারের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে বিইআর এর চেয়ারম্যান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. এমএম আকাশের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো. আব্দুল আজিজ।
আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান ও বিএনটিটিপির অ্যাডভাইজরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. মো. নাসির উদ্দীন আহমেদ, জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সাবেক সমন্বয়কারী হোসেন আলী খোন্দকার এবং বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার ন্যাশনাল প্রফেশনাল অফিসার ডা. সৈয়দ মাহফুজুল হক। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন বিইআর এর প্রজেক্ট ম্যানেজার (তামাক কর) হামিদুল ইসলাম হিল্লোল।
বক্তারা বলেন, দেশকে তামাক মুক্ত করতে হবে, এ নিয়ে কোন বিতর্ক নেই। এটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি। উচ্চ মূল্য তামাক নিয়ন্ত্রণের একটি কার্যকর পদ্ধতি। অন্যান্য পদ্ধতি প্রয়োগের পাশাপাশি আমাদের তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য ও করহার বৃদ্ধি করতে হবে। শুধু তরুণরা তামাকের পেছনে যে অর্থ ব্যয় করে তা দেশের বাৎসরিক বাজেটের ৭ শতাংশেরও অধিক। এই অর্থ জাতীয় উন্নয়নে ব্যবহার করতে হলে তামাক নিয়ন্ত্রণের কোনো বিকল্প নেই। কার্যকর তামাক নিয়ন্ত্রণের জন্য মূল্য ও কর বাড়ানোর পাশাপাশি আমাদের একটি সমন্বিত আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
সেমিনারে জনপ্রতিনিধি, সরকারি ও বেসকারি কর্মকর্তা, গণমাধ্যম কর্মী, অর্থনীতিবিদ, তামাক নিয়ন্ত্রণ বিশেষজ্ঞ এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠনের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।