কথিত স্ত্রী পরিচয়ে এক নারীকে নিয়ে ফুর্তি করতে গিয়ে গ্যাড়াকলে পড়েছেন ইউপি মেম্বার।
বৃহষ্পতিবার (২৮ জুলাই) সন্ধ্যায় মেহেরপুরের গাংনীর শালদহ গ্রামে এ ঘটনাটি ঘটে।
পুলিশ ওই মেম্বরকে হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।
শরীফ চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের মেম্বার।
জানা গেছে, শরীফ প্রথম স্ত্রী রেখে ডালিম নামের এক নারীকে বিয়ে করে ২০১৬ সালে।
পরে ডালিমের সাথে মনোমালিন্য হওয়ায় প্রথম স্ত্রীর সাথে থাকতে শুরু করে। ফলে দ্বিতীয় স্ত্রী ডালিম আদালতে মামলা করে।
পরে শরীফ মেম্বারের সাথে পরিচয় ঘটে শালদহ গ্রামের জনৈক জাহাঙ্গীরের স্ত্রী সাথী খাতুনের সাথে।
সাথীর বোন মীমকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে আসা যাওয়া করে। প্রচার প্রচারণা চালায় যে, মীমকে কুষ্টিয়ার একটি কাজী অফিসে নিয়ে বিয়ে করেছে।
বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় শরীফ মেম্বার মীমকে সাথে নিয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়িতে আসলে দ্বিতীয় স্ত্রী ডালিম গ্রামের লোকজনকে জানায়।
গ্রামের লোকজন একত্রিত হয়ে জাহাঙ্গীরের বাড়ি ঘেরাও করলে শরীফ ধরা পড়ে। সুয়োগ পেয়ে সটকে পড়ে মীম। বিয়ের কথা স্বীকার করলেও শরীফ কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেন নি।
এদিকে খবর পেয়ে হেমায়েতপুর ক্যাম্প পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে শরীফকে জিম্মায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশের জেরা চলছিল।
গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক জানান, মেম্বর পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। তার দেয়া তথ্য যাচাই বাছাই চলছে। কোন অসঙ্গতি পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।