মেহেরপুরের গাংনীর বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের এইচ এসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠানে বখাটেদের হামলা ১২ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) বেলা সাড়ে বারোটার দিকে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে এ ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীরা হলেন-বামন্দী নিশিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের ২০২২ সালের এইচ এসসি পরিক্ষার্থী মোস্তাক, সাব্বির, নাহিদ, শিশির, সায়েম, সাজিদ, মাহফুজ, আনোন, ইলমান, তানভীর, ফরহাদ ও মুন্নি। প্রতিষ্ঠানে সভাপতি মাসুম আহমেদ ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন।
আহত শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জানাই, আজ আমাদের ২০২২ সালের এইচ এসসি পরিক্ষার্থীদের বিদায় অনুষ্ঠান চলছিলো। এমন সময় বহিরাগত বখাটে ছেলেরা আমাদের বান্ধবীদের উত্যাক্ত করছিলো। আমরা বন্ধুরা মিলে তার প্রতিবাদ করি। আমাদের অনুষ্ঠান শেষে হঠাৎ রড, বাশের লাঠি, কাঠের বাটাম নিয়ে ২০-২৫ জন ছেলে এসে প্রথমে আমাকে মারধর শুরু করে। পরে আমার আরো বন্ধুরা এগিয়ে আসলে পর্যায়ক্রমে ১২ জনকে মেরে যখম করে। হামলা শেষে তারা মটরসাইকেলযোগে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন।
আহত আরেক শিক্ষার্থী শিশির আহমেদ বলেন, যারা আমাদের উপর আক্রমন চালিয়েছে। তাদের হাতে রড, স্টিলের পাইপ, কাঠের বাটাম ছিলো। তাদের অর্তকিত আক্রমনের ফলে আমাদের বন্ধুদের দুটি মোবাইল ফোন, দুটি DSLR কেমেরা, মোবাইল স্ট্যান্ড, দশ টি বেঞ্চ, বিশটি চেয়ার ও টেবিল ভাংচুর করে। আমরা আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠান করছিলাম। অথচ সেখানেই আমাদের উপর হামলা করা হল। তাহলে আমরা নিরাপদ কোথায়? আমরা এর বিচার চাই। শুষ্ঠু বিচার না হলে আমরা মানব বন্ধন করবো।
আহত আরেক পরিক্ষার্থী মুন্নি আক্তার জানান, আমাদের বিদায় অনুষ্ঠান শেষে বন্ধু বান্ধবী মিলে আমাদের বিদ্যালয়ের ৪র্থ তালায় হল ঘরে মতবিনিময় করছিলাম। এমন সময় ঘরের বাহির থেকে বেশ কিছু ছেলে আমাদের বান্ধবীদের বাজে টোন করছিলো। আমাদের বন্ধুরা এর প্রতিবাদ করতে গেলে ২০-২৫ ছেলে এসে আমাদের উপর হামলা করে।
বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সিরাজুল ইসলাম জানান, আমি এইস এসসি পরিক্ষার্থীদের সাথে কয়েকজন বহিরাগত ছেলেদের মধ্যে কথাকাটা কাটির ঘটনা ঘটলে। আমি তাদের ডেকে ঠিক করে বাসায় চলে আসার পরে ঘটনাটি ঘটেছে। আমি এঘটনায় দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করছি।
বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজের সভাপতি মাসুম আহমেদ জানান, বিদ্যালয়ের ২০২২ এর এইচ এসসি ব্যাচের বিদায় অনুষ্ঠান শেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে শিক্ষকরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ত্যাগ করে চলে যাওয়ার পরে। বেশ কিছু বহিরাগত বখাটে ছেলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে শিক্ষার্থীদের উপর যে হামলা চালিয়ে তাদের যখম করেছে। আমি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে প্রশাসনের কাছে অনুরোধ জানাচ্ছি হামলাকারি বখাটেদের চিন্হিত করে আইনের আওতায় নিয়ে এসে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দেয়া হোক।