জান্নাতুল ফেরদৌস পিংকী (৩২) নামের এক প্রবাসীর স্ত্রীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে মেহেরপুরের গাংনী থানা পুলিশ উপজেলার ধানখোলা গ্রামের পিংকীর স্বামীর বাড়ির শয়ন কক্ষ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে। পিংকীর মরদেহ ময়না তদন্ত সাপেক্ষে তার পিতা মাতার কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় পিংকীর স্বামীকে প্রধান আসামী করে গাংনী থানায় একটি আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা দায়ের করেছেন পিংকীর পিতা খোকন দেওয়ান।
জানা গেছে, পিংকীর সাথে বছর দশেক আগে খড়মপুরের সাবেক ইউপি সদস্য ফজলুর রহমানের ছেলে আনোয়ার হোসেনের বিয়ে হয়। বর্তমানে স্বামী আনোয়ার হোসেন মালেশিয়া প্রবাসী। কিছুদিন আগে পিংকী তার স্বামীর নিজস্ব বাড়ি ধানখোলা গ্রামে এসে বসবাস করতে থাকে। সোমবার সন্ধ্যায় পিংকীর মা ও তার দুই সন্তান গাংনী থেকে ধানখোলা বাসায় ফিরে দরজা বন্ধ দেখে ডাকাডাকি করে। বিষয়টি টের পায় বাজারের লোকজন। পরে ঘরের দরজা ভেঙ্গে পিংকীর মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়।
গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পিংকীর পিতা খোকন দেওয়ান পিংকীর স্বামী আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী করে আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলা করেন। আজ মঙ্গলবার সকালে পুলিশ মরদেহের ময়না তদন্ত সাপেক্ষে তার পিতা মাতার কাছে হস্তান্তর করে।
মামলার এজহারে উল্লেখ করা হয়, পিংকির স্বামী দীর্ঘদিন ধরে মালেশিয়ায় অবস্থান করছেন। বাড়িতে আসার সুযোগ থাকলেও তিনি নানা অজুহাতে বাড়ি আসেন না। পারিবারিকভাবে কয়েক দফা বোঝানোর চেষ্টা করা হলেও আনোয়ার বাড়িতে আসতে অনীহা প্রকাশ করেন সেই সাথে পিংকীকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়। এক রকম বাধ্য হয়েই পিংকী আত্ম হত্যা করে।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য তার স্বামী আনোয়ার হোসেনকে প্রধান আসামী ও অপর দুজনসহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামী করে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন পিংকির পিতা খোকন দেওয়ান। লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। আসামীদের আটকে অভিযান শুরু করেছে পুলিশ।