• শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম:
গাংনীতে চার কেজি গাঁজাসহ পাচারকারী আটক এই সরকারকে ব্যর্থ করে দেওয়ার যে কোন ষড়যন্ত্র আমরা প্রতিহত করব-মাসুদ অরুন গাংনীতে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে বিএনপির গণ-সমাবেশ অনুষ্ঠিত হরিণাকুণ্ডুতে আন্তঃ বিভাগ মিনিবার ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী ও পুরস্কার বিতরণ গাংনীতে কলেজ ছাত্রী অপহরণ মামলার আসামি গ্রেফতার গাংনীতে নিজ ঘর থেকে বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার গাংনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে নারীসহ চারজন আটক মেহেরপুরে সড়ক দুর্ঘটনা রোধে যৌথবাহিনীর অভিযানে এক লাখ টাকা জরিমানা গাংনী সরকারি ডিগ্রী কলেজের অফিস সহকারীকে পিটিয়ে জখম গাংনীতে ইঁদুর নিধন অভিযান উপলক্ষে র‌্যালি ও আলোচনা সভা

গাংনীতে পুকুর লিজ নিয়ে বিপাকে মাছ চাষী

বির্বতন প্রতিবেদক
Update : শুক্রবার, ২ সেপ্টেম্বর, ২০২২

মেহেরপুরের গাংনীতে পুকুর লিজ নিয়ে মাছ চাষ করতে গিয়ে মামলায় পড়েছেন চুয়াডাঙ্গার শালিকা গ্রামের মাছ চাষী ইসমাইল হোসেন। পুকুরের এক সময়ের মালিক বনে যাওয়া গাংনীর চান্দামারী গ্রামের বুলবুল হোসেন রক্ষা পেলেও ফেঁসে গেছে ইসমাইল হোসেনসহ কয়েকজন মাছ চাষী। একটি পক্ষ রাতের আধারে পুকুর থেকে মাছ ধরে নিয়ে গেছে। আর এই দায়ে মাছ চাষীরা এখন মামলায় পড়েছেন বলে অভিযোগ করেছেন ইসমাইল হোসেন।
জানা গেছে, গাংনী উপজেলার চান্দামারী গ্রামের পদ্মবিল নামের একটি পুকুরের মালিক ছিল সরকার। এই পুকুরের অবস্থান গাংনী উপজেলা ও আলমডাঙ্গা উপজেলার সীমান্তবর্তী। এসএ এবং সিএস রেকর্ডবলে চাঁন্দামারী গ্রামের বুলবুল হোসেন পুকুরের মালিক দাবি করে। গ্রামের কয়েকজন কুচক্রীর সহায়তায় সরকারি জমি নিজের নামে করে নেয় বুলবুল। রেকর্ডের পর থেকেই বুলবুল বিভিন্নভাবে পুকুর ভোগ দখল করে আসছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রতিক সময়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার শালিকা গ্রামের ইসমাইল হোসেন ও মহিবুল ইসলাম লিজ নিয়ে মাছ চাষ শুরু করেন। তবে তার আগেই পুকুরের মালিকানা নিয়ে আদালতে মামলা চলছে। ওই মামলায় ১৪৫ ধারা জারি করেন বিজ্ঞ আদালত।
ভুক্তভোগী ইসমাইল হোসেন বলেন, বুধবার রাতে তারা জেলে নিয়ে পুকুরে মাছ ধরতে যায়। এসময় গাংনী থানা পুলিশ তাদেরকে ধাওয়া করে। দুইজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। তখন জানতে পারি যে আদালতের আদেশে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে পুকুরের (ওসি) রিসিভার দেওয়া হয়েছে। ফলে পুকুরের মাছ ধরা থেকে আমরা বিরত থাকি। আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে পুকুরে যাইনি। কিন্তু এর পরদিন বৃহস্পতিবার রাতে গাংনী উপজেলার শানঘাট গ্রামের আব্দুর রহমান, চাঁন্দামারী গ্রামের আলিম, একই গ্রামের সোহরাব হোসেন এবং সাল্টু লোকজন নিয়ে মাছ ধরে বিক্রি করে দেয়। যার আনুমানিক মুল্য ১৫ লক্ষ টাকা। আব্দুর রহমানসহ তার লোকজন মাছ ধরলেও এই দায় এখন মাছ চাষীদের উপর দেওয়া হচ্ছে। রিসিভার অনুযায়ী পুলিশের পক্ষ থেকে মাছ বিক্রি করলে তো কোন আপত্তি নেই। কিন্তু ওই পক্ষের লোকজন মাছ বিক্রি করেছে যার দায় এখন মাছ চাষীদের টানতে হচ্ছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি করেন মাছ চাষীরা।
তবে ইসমাইল হোসেনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, আমি এবং আমার লোকজন পুকুরে যাইনি এবং মাছও ধরেনি। মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে ইসমাইল হোসেন আমাদেরকে ফাঁসাতে চাচ্ছে।
জানা গেছে, আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুরে মাছ ধরায় মাছ চাষী ইসমাইল হোসেনসহ কয়েক জনের নামে গাংনী থানায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে মাছ ধরার সময় যে দুজনকে পুলিশ আটক করেছিল তাদেরকে এ মামলায় আদালতে সোপর্দ করা করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
জানতে চাইলে গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আদালত থেকে রিসিভার পাওয়ার পর ইসমাইল হোসেনদেরকে পুকুরে আসতে নিষেধ করেছিলাম। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পুকুরে আসা ও মাছ ধরে বিক্রি করার অপরাধে তাদের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category