কুষ্টিয়ার খোকসায় নজরুল ইসলাম লতিফকে (৩০) গলা কেটে হত্যার দায়ে দুই আসামিকে আমৃত্যু ও এক নারীকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সাথে প্রত্যেকের ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
রবিবার দুপুরে কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মুহাম্মদ তাজুল ইসলাম এ রায় দেন।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-রাজবাড়ী সদর উপজেলার ধুনচি গ্রামের মৃত ফয়েজ শেখের ছেলে মজিবর শেখ (৩৭) ও কুষ্টিয়া শহরের মিলপাড়া এলাকার তোফাজ্জেল আলীর ছেলে ফজলু (৩৫)। এছাড়াও একই মামলায় আসামি খুশি বেগমকে (৪৬) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত খুশি বেগম কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মজনু শেখের স্ত্রী। রায় ঘোষণার সময় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি খুশি বেগম আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। আমৃত্যু কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামি ফজলু ও মজিবর পলাতক রয়েছেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় এই মামলায় আজিম সর্দারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৬ জুলাই সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালক নজরুল ইসলাম ভাড়ায় যাত্রী বহনের উদ্দেশে বাড়ি থেকে বের হয়। সেদিন বিকাল থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন।
পরের দিন ১৭ জুলাই দুপুর ১টার দিকে খোকসা উপজেলার উত্তর শ্যামপুর গ্রামের মাঠে পাট ক্ষেতের মধ্যে মস্তকহীন নজরুলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। আসামিরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে নজরুলের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চুরি করতে তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
পরের দিন ১৮ জুলাই নিহতের বড়ভাই ও রাজবাড়ীর কালুখালী উপজেলার সজিরদ্দিন শেখের ছেলে বিল্লাল শেখ বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে খোকসা থানায় এজাহার দায়ের করেন।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ৩০ জুন আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।