কুষ্টিয়ার দেশওয়ালী পাড়ায় পারিবারিক কলহের জেরে স্বামী সাব্বির আহমেদকে (৩৭) কুপিয়ে হত্যা করেছে তার স্ত্রী । এ ঘটনার পর থেকে নিহতের স্ত্রী রজনী খাতুন পলাতক রয়েছেন। রবিবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে কুষ্টিয়া পৌরসভার মিলপাড়া ছোট ওয়ারলেস গেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ৩ অক্টোবর সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুষ্টিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দেলোয়ার হোসেন।
নিহত সাব্বির আহমেদ কুষ্টিয়া পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডের মিলপাড়ার ছোট ওয়ারলেস গেট এলাকার মৃত রমজান আলীর ছেলে।
অভিযুক্ত রজনী খাতুন নিহতের দ্বিতীয় স্ত্রী। নিহতের প্রথম স্ত্রীর সাথে বিচ্ছেদ ঘটেছে গত এক বছর আগে। প্রথম স্ত্রীর দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে। গত এক মাস আগে রজনী খাতুনের সাথে সাব্বিরের বিয়ে হয়।
পুলিশ, নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত এক মাস আগে নিহত সাব্বিরের সাথে লাহিনী পাড়ার রজনী খাতুনের বিয়ে হয়। এরপর থেকে তারা সংসার করে আসছিল। হঠাৎ করে পারিবারিক কলহ সৃষ্টি হয় এ দম্পতির মাঝে। এরই প্রেক্ষিতে নিজ বাড়িতে ঘুমন্ত সাব্বিরকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রজনী খাতুন ছুরি দিয়ে স্বামীকে কুপিয়ে রক্তাক্ত করে। সাব্বিরের আর্তচিৎকারে স্থানীয়রা গিয়ে তাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহতের স্বজন সাকিব বলেন, সাব্বিরকে তার দ্বিতীয় স্ত্রী রজনী খাতুন কুপিয়ে হত্যা করেছে। পারিবারিক কলহের জেরে সাব্বিরকে গভীর রাতে হত্যা করে পালিয়ে গেছে রজনী খাতুন। আমরা তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
কুষ্টিয়া মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেলোয়ার হোসেন বলেন, পারিবারিক কলহের জেরে সাব্বিরকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। তার দ্বিতীয় স্ত্রী পলাতক রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, স্বামীকে কুপিয়ে হত্যার পর স্ত্রী পালিয়ে যান। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।