কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে মীরমোশারফ হোসেন সেতুর টোলকর্মীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে।
গত শুক্রবার সন্ধায় এই ঘটনার সিসিটিভির ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের শোকসভায় যাওয়ার পথে কুমারখালী উপজেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে টোলকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
গত শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে কুষ্টিয়া-রাজবাড়ী সড়কের কুমারখালীর মীর মশাররফ হোসেন সেতুর টোলপ্লাজা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ছাত্রলীগ দাবি করেছে, টোলকর্মীরা তাদের ওপর হামলা করেছে। এতে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ আলম সহ বেশ কিছু ছাত্রলীগের নেতাকর্মী আহত হয়েছে।
আহতদের মধ্যে চারজন কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। অন্যরা স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা নিয়েছেন।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন কুমারখালী সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন। নাজমুল হোসেন বলেন জেলা ছাত্রলীগের শোকসভার কর্মসূচি ছিল।
প্রায় ১৫০টি মোটরসাইকেল নিয়ে আমরা সভায় যাচ্ছিলাম। সকাল ১১টার দিকে টোলপ্লাজা এলাকায় পৌঁছালে কর্মচারীরা টোল দাবি করেন।
আমরা বললাম, অনুষ্ঠানে দেরি হয়েছে, আমরা ছাত্রলীগ করি, আমাদের ছেড়ে দেন। ছাত্রলীগ পরিচয় শুনে আরও বেশি চড়াও হয়। দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায় তারা।
হামলায় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ ১৫ জন আহত হয়েছেন। তিনটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়েছে বলে দাবি করেন এ ছাত্রলীগ নেতা।
এ ব্যাপারে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জীবন হাসান সোহেল বলেন। ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টোল প্লাজায় হাত উঁচিয়ে ছাত্রলীগের মোটরসাইকেল বহর থামান এক টোলকর্মী।
মোটরসাইকেল থামিয়ে ওই টোলকর্মীকে কয়েকজন মিলে মারতে দেখা যায়। বেশ কিছুক্ষণ তাঁকে মারধর করেন ছাত্রলীগের কর্মীরা। এরপর তাঁরা চলে যান। এরপর টোলকর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের পিছু ধাওয়া করতে দেখা যায়।
মীর মশাররফ হোসেন সেতুর টোল প্লাজার ইজারাদার পারভেজ আনোয়ার তনু বলেন। কী কারণে সংঘর্ষ হয়েছে তা জানি না। সেখানে সিসিটিভি ফুটেজ দেখলে বিস্তারিত জানা যাবে।
তবে আমাদের অনেক কর্মচারী আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন। কুমারখালী থানার ওসি কামরুজ্জামান তালুকদার বলেন, ছাত্রলীগের সঙ্গে টোলকর্মীদের হাতাহাতি হয়েছে।
কয়েকজন আহত হয়েছেন জানতে পেরেছি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।