কুষ্টিয়ার খোকসায় আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশ থেকে ফেরার পথে প্রতিপক্ষের হামলায় এক ইউপি সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ ঘটনায় করা মামলায় সাবেক এক ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১৭ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে ওসমানপুর ইউনিয়নের দেবিনগরে গ্রামে নিজ বাড়িতে গুলিবিদ্ধ হন ইউপি সদস্য হায়দার আলী (৫০)।
পরে পুলিশ পাহারায় প্রথমে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
হায়দার আলী ওসমানপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য। তিনি আনসার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। সন্ত্রাসীরা আহত সদস্যের সমর্থক রশিদ ও রেজাউলের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট করে।
ইউপি সদস্যের ওপর হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। পরে রাতেই গ্রামে পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ ইউপি সদস্যের ছেলে ইদ্রিস আলী বাদী হয়ে বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) সকালে খোকসা থানায় একটি মামলা করেন। মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে।
গুলিবিদ্ধ হায়দার আলী বলেন, আওয়ামী লীগের একাংশ সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশের আয়োজন করে। তবে ওই সমাবেশে অংশ না নিতে তাকে হুমকি দেয় প্রতিপক্ষের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা।
সন্ত্রাসীদের নির্দেশ উপেক্ষা করে লোকজন নিয়ে বুধবার বিকেলে তিনি উপজেলা সদরের হাইস্কুল মাঠে অনুষ্ঠিত সমাবেশে যোগ দেন। সমাবেশ শেষে রাত ১০টার দিকে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন। নিজ গ্রাম দেবিনগরে পৌঁছালে প্রতিপক্ষের সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ্য করে ৮-৯ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। তিনি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সাইদুজ্জামান জানান, হায়দারের পায়ে বন্দুকের গুলির অসংখ্য স্প্রিন্টার ঢুকে আছে। যা অস্ত্রোপচার ছাড়া বের করা অসম্ভব। তাকে কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়েছে।
ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আব্দুল হাকিম জানান, বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। রাস্তাঘাট ফাঁকা। কোথাও কোনো লোক সমাগম নেই।
খোকসা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান জানান, ইউপি সদস্য হায়দার আলীর ছেলে বাদী হয়ে মামলা করেছন। মামলার প্রধান আসামি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আনিসুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে।