মুসলমানের দেশ হিসেবে বাংলাদেশের শহরে, গ্রামে-গঞ্জে, পাড়া-মহল্লায় অবস্থিত মসজিদ, মাদরাসা কিংবা দ্বীনদরদী মুসলিম ভাইদের উদ্যোগে ওয়াজ মাহফিলের আয়োজন- বেশ পরিচিত একটি চিত্র। এমন দৃশ্য বিশ্বের অন্য কোনো মুসলিম দেশে সাধারণত দেখা যায় না।
আয়োজিত এসব ওয়াজ মাহফিলে প্রাজ্ঞ আলেম, পীর-মাশায়েখ ও বুজুর্গরা সাধারণ মুসলমানদের জন্য ধর্মীয় নানা বিষয় নিয়ে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিয়ে থাকেন। দূর-দূরান্ত থেকে পায়ে হেঁটে, সাইকেল বা বিভিন্ন যানবাহনের মাধ্যমে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা এ সব ওয়াজ মাহফিলে অংশগ্রহণ করে থাকেন এবং সারারাত জেগে, গভীর আগ্রহ সহকারে কোরআন-হাদিসের আলোচনা শোনেন। পর্দার আড়ালের মা-বোনেরাও নিজ বাসা বাড়িতে বা আত্মীয়ের বাড়িতে এসে ওয়াজ শোনে থাকেন। বাংলাদেশের মানুষ যে ধর্মপ্রাণ- এসব ওয়াজ মাহফিলের উপস্থিতি দেখে তা অনুমান করা যায়।
এরই ধারাবাহিকতায় কুষ্টিয়া কুমারখালী উপজেলার চাপড়া ইউনিয়নের ছেঁউড়িয়া জয়নাবাদ মন্ডলপাড়ায় বায়তুন নুর ইসলামিয়া মাদ্রাসার উদ্যোগে ১২তম বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বাদ আছর হইতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে মধ্যরাত পর্যন্ত চলে বার্ষিক ওয়াজ মাহফিল।
ওয়াজ মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন, ছেঁউড়িয়া জয়নাবাদ মন্ডলপাড়া এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ইউনুছুর রহমান লিটন। মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন কুমিল্লা জামিয়া দারুস সুন্নাহ মুহতামীম হয়রত মাওলানা দেলোয়ার বিন দেওয়ান।
বিশেষ বক্তা হিসেবে ওয়াজ করেন, ঢাকা লালবাগ চৌধুরী বাজার জামে মসজিদের খতিব মুফতী আ ফ ম আকরাম হোসাইন, ঢাকা মারকাযুদ দ্বীন মুহতামীম মুফতী আমানুল্লাহ বসন্তপুরী, জয়নাবাদ মন্ডলপাড়া বায়তুল আমান জামে মসজিদের পেশ ইমাম ও খতিব মাওলানা মোহাম্মদ আবুল বাশার।
এসময় ওয়াজ মাহফিলের মঞ্চ পরিচালনায় ছিলেন জয়নাবাদ বাসিন্দা পাড়ার শাহী জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন। উক্ত ওয়াজ মাহফিলের সার্বিকভাবে সহযোগিতায় ছিলেন এলাকাবাসী ও যুবসমাজ। ওয়াজ মাহফিলের আখেরি মোনাজের মধ্যদিয়ে শেষ হয়। শেষে সকলের মধ্যে তাবারুক বিতরণ করা হয়।