কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলায় সাপের কামড়ে নববধূ ও তার শ্বাশুরীর মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে প্রথমে নববধূ কামরুন্নাহার (১৭) ও শ্বাশুরী জয়নব বেগম (৪৮) চিকিৎসাধীন অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে মারা যান। জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সকিব খান টিপু ওই নববধূ ও তার শ্বাশুড়ীর সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন।
তিনি জানান, সোমবার দিনগত রাতে তার ইউনিয়নের মামুদানী পুর গ্রামের গৃহকর্তা আব্দুস ছাত্তারের পরিবারের লোকেরা রাতের খাবার খেয়ে ঘুমোতে যায়। রাত ২টার পর নববধূ কামরুন্নাহার তার স্বামী হাবিবুল বাহারকে জানান তার মাজায় কিসে যেনো কামড় দিয়েছে। এই সময় পাশের ঘর থেকে তার শ্বাশুড়ী জয়নব বেগমও স্বামী আব্দুুস ছাত্তারকে জানান তার হাতে কিসে যেনো কামড় দিলো। রাতেই শুরু হয় গ্রামের ওঝাদের অপচিকিৎসা। এক পর্যায়ে সকাল সাড়ে ৬ টার দিকে তাদেরকে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হয়। সেখানে ভর্তি করে চিকিৎসাও দেওয়া হয়। কিছু সময় পর অসুস্থ্য নববধূ ও শশ্বাশুড়ীকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে নেওয়ার আগেই নববধূ ও পরে তার শ্বাশুড়ী মৃত্যুবরণ করেন। তিনি আরো জানান, মাত্র ৬ মাস আগে কামরুন্নাহারের বিয়ে দিয়ে এই বাড়িতে আনা হয়। মেহেদীর রং মুছার আগেই তার জীবন প্রদীপ নিভে গেলো। খোকসা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার কামরুজ্জামান সোহেল বলেন, রোগিদের মুমূর্ষ অবস্থায় ভোরে হাসপাতলে আনেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয় তাদের সাপে কেটেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত করতে ও উন্নত চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। নিহত গৃহকত্রীর ছেলে জয়ন্তী হাজরা ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোক্তা মুন্নাফ হোসেন জানান, রাতে প্রায় একই সময়ে তার মা জয়নব ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী কামরুন্নাহারের হাতে ও মাজায় পোকায় কামড় দেওয়া কথা জানান। ভোরে তাদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে কুষ্টিয়ায় রেফার করা হয়। সেখানে নিয়ে চিকিৎসার এক পর্যায়ে আগে নববধূ কামরন্নাহার ও পরে মা জয়নব বেগমের মৃত্যু হয়।