আগের ম্যাচ হেরে যাওয়ায় বিপিএলে শীর্ষে থাকা নিয়ে শঙ্কায় ছিল সিলেট স্ট্রাইকার্স। ফেরত যাওয়া পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার ইমাদ ওয়াসিম ও মোহাম্মদ আমিরকে ফিরিয়েও আনা হয়েছিল। তারা যোগ দিতেই পাল্টে গেলো শিরোপা প্রত্যাশীদের চেহারা। দারুণ বোলিংয়ে খুলনাকে ১১৩ রানে আটকে ১৫ বলে হাতে রেখে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতেছে সিলেট। এই জয়ে তারা ১২ ম্যাচে ১৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের শীর্ষে থেকে প্রথম কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে।
মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে ১১৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ১০ রানে দুই ওপেনার তৌহিদ হৃদয় (৫) ও নাজমুল হোসেন শান্তকে (৩) হারিয়ে সিলেট বিপদে পড়ে গিয়েছিল। এরপর জাকির হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ৯০ রানের জুটি জয়ের মঞ্চ গড়ে দিয়েছে। জাকিরের বিদায়ে ভাঙে গুরুত্বপূর্ণ জুটি। তার আগে ৪৬ বলে ৫ চার ও ১ ছক্কায় হাফ সেঞ্চুরিতে দলের জয়ে অবদান রেখে গেছেন।
লক্ষ্য থেকে ১৪ রান দূরে থাকতে দুর্ভাগ্যজনক রান আউটে সাজঘরে ফেরেন মুশফিকও। আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪ চারে খেলেছেন ৩৯ রানের ইনিংস। এরপর রায়ান বার্ল ৬ বলে ১২ রানের কার্যকরী ইনিংস খেললে ১৫ বল আগেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় সিলেট।
খুলনার বোলারদের মধ্যে নাহিদুল ইসলাম ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
পিঠের ব্যথায় নিজেদের শেষ ম্যাচটিতে মাঠে নামেননি তামিম ইকবাল। তাকে হারিয়ে শেষ ম্যাচটিতে খুলনা টাইগার্সের ব্যাটিং ছিল ছন্নছাড়া। টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ২১ রানে হারিয়েছে টপ অর্ডারের তিনটি উইকেট! চতুর্থ উইকেটে মাহমুদুল হাসান জয় ও ইয়াসির আলী রাব্বি মিলে বিপর্যয় কাটিয়ে উঠার চেষ্টা করেছিলেন। ১৫ বলে ১২ রান করে ইয়াসির আউট হতেই ভেঙে যায় সম্ভাবনাময় জুটি। এরপর সাব্বির (৬) ও সাইফউদ্দিন (৬) দ্রুত বিদায় নিলে বড় সংগ্রহের সম্ভাবনা সেখানেই শেষ হয়ে গেছে। তার পর জয়ের ৪১ বলে ৪১ এবং নাহিদুলের ১৭ বলে ২২ রানের কল্যাণেই ৮ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা।
সিলেট স্ট্রাইকার্সের বোলারদের মধ্যে তানজিম আহমেদ সাকিব ২২ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এক ম্যাচের জন্য পাকিস্তান থেকে উড়িয়ে আনা ইমাদ ওয়াসিম নিয়েছেন দুটি এবং মোহাম্মদ আমির নিয়েছেন একটি উইকেট। এছাড়া পেসার রুবেল হোসেন ২৪ রান খরচায় নেন দুটি উইকেট।