• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ০৭:১৫ পূর্বাহ্ন

ভারতকে তুলোধুনা-ফাইনালে ইংল্যান্ড

বিবর্তন ডেস্ক
Update : বৃহস্পতিবার, ১০ নভেম্বর, ২০২২
ভারতকে তুলোধুনা-ফাইনালে ইংল্যান্ড
ভারতকে তুলোধুনা-ফাইনালে ইংল্যান্ড

‘পাত্তা না পাওয়া’ বলে একটা কথা আছে না? টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের বিপক্ষে ইংল্যান্ড সেই কাজটিই যেন করেছে। ১৬৮ রান করেও লড়াইয়ের কোনো দৃষ্টান্তই স্থাপন করতে পারেনি টিম ইন্ডিয়া। ভারতীয় বোলারদের নিয়ে রীতিমত ছেলেখেলা করেছেন জস বাটলার ও অ্যালেক্স হেলস। তাতে কোনো উইকেট না হারিয়েই ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ইংল্যান্ড।

 

ভারতের ইনিংসের সারমর্ম করলে হার্দিক পান্ডিয়া, বিরাট কোহলিদের পাশাপাশি নাম আসবে ইংল্যান্ডের বোলারদেরও। কেননা পান্ডিয়ার ঝড়েরর আগে তো ম্যাচে নিয়ন্ত্রিত বোলিংই করেছিল ইংল্যান্ডের বোলিং বিভাগ। কিন্তু ইংল্যান্ডের ইনিংসে শুধুই আলেক্স হেলস ও জস বাটলারের দাপট। সেই দাপটে ২৪ বল হাতে রেখে ১০ উইকেটে জিতেছে ইংলিশরা। ফাইনালে পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।

বৃহস্পতিবার (১০ নভেম্বর) অ্যাডিলেডে রান তাড়া করতে নেমেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করে ইংল্যান্ড। প্রথম ওভারে ১৩, দ্বিতীয় ওভারে ৮ ও তৃতীয় ওভারে ১২ রান তুলে জস বাটলার ও আলেক্স হেলস জুটি। এরপর অক্ষর প্যাটেলকে আক্রমণে আনলেও উইকেটের দেখা পায়নি ভারত। ধুঁকতে থাকলেও তার ওভারেও ৮ রান নেন ইংল্যান্ডের দুই ডান হাতি ব্যাটার। পাওয়ার-প্লে শেষে বিনা উইকেটে ৬৩ রান করে ইংল্যান্ড। এই পর্যায়ে এসে এক উইকেটে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৩৮।

জয় নিশ্চিত করে অপরাজিত থাকা হেলস ০ বলে ০ ও বাটলার ০ বলে ৮০ রান করেন। এর মধ্যে হেলসের ইনিংসে ছিল ০টি ও ০টি ছয়ের মার।

এর আগে অল্প পুঁজির শঙ্কায় থাকলেও শেষ দিকের ঝড়ে লড়াকু সংগ্রহ পায় ভারত। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৮ রান করে তারা। অ্যাডিলেইড ওভালে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে চাপে ছিল ভারত। ৯ রানে তারা হারায় লোকেশ রাহুলের উইকেট। ৫ বলে ৫ রান করে ফিরে যান ভারত ওপেনার। পাওয়ার-প্লে শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় মাত্র ৩৮ রান। ৫৬ রানের মাথায় ফিরে যান আরেক ওপেনার রোহিত শর্মাও। একশর কম স্ট্রাইকরেটে তিনি করেন ২৭ রান।

বর্তমান সময়ে টি-টোয়েন্টির সেরা ব্যাটার মনে করা হয় সূর্যকুমার যাদবকে। ইংলিশদের তোপে এদিন তিনিও সুবিধা করতে পারেননি। ১০ বলে ১৪ রান করে আদিল রশিদের বলে ক্যাচ দেন ফিলিপ সল্টকে। ১১.২ ওভারে তখন ভারতের দলীয় রান ছিল ৭৫। এরপর বিরাট কোহলি ও হার্দিক পান্ডিয়া মিলে প্রতিরোধ গড়ে তুলেন।

১৮তম ওভারে ক্রিস জর্ডানের পরপর দুই বলে ২ ছক্কা হাঁকান হার্দিক পান্ডিয়া। একই ওভারে বিরাট কোহলি পূর্ণ করেন আসরের চতুর্থ হাফসেঞ্চুরি। পরের বলেই গালিতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। ৪০ বলে তার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও একটি ছয়ের মার। পান্ডিয়া ইনিংসের মোড়ই ঘুরিয়ে দেন। ২৯ বলে ফিফটি পূর্ণ করেন তিনি। রিশভ পন্ত করেন ৬ রান। আউট হওয়ার আগে ৩৩ বলে পান্ডিয়ার ইনিংসে ছিল ৪টি চার ও ৫টি ছয়ের মার। ইংল্যান্ডের হয়ে বাকিদের মধ্যে ক্রিস ওকস ও আদিল রশিদ একটি করে উইকেট পান।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category